সমকালীন প্রতিবেদন : গত দশকের আইপিএলের বেশ কয়েকটি সিজনে দাপট দেখিয়েছিলো মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ২০১৩ থেকে ২০২০-র মধ্যে তারা জিতেছিলো পাঁচটি ট্রফি। তবে তারপর থেকেই দলের পারফরম্যান্স বিশেষ ভালো হয়নি।
চার মরসুম ট্রফিহীনভাবে রয়েছে মুকেশ আম্বানির দল। এর মধ্যে দুবার পয়েন্ট তালিকায় সবার নীচে শেষ করার লজ্জাও ভোগ করতে হয়েছে টুর্নামেন্টের সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজি’কে। সেই কারণেই ২০২৪ মরসুমের আগে বড়সড় রদবদলের পথে হেঁটেছিলো মুম্বই টিম ম্যানেজমেন্ট।
সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল দীর্ঘদিনের অধিনায়ক রোহিত শর্মা’কে। বদলে নেতার দায়িত্ব দেওয়া হয় হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে। তবে ফলপ্রসু না হয়ে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছিলো ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্ত। মুখ থুবড়ে পড়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
এরপর রোহিত ভারত অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতেন। আর এবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে যে, রোহিত শর্মাকে ধরে রাখার জন্য নাকি উঠেপড়ে লেগেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজি।
এমনকী ব্যক্তিগত স্তরেও ভারত অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলছেন নীতা আম্বানি, আকাশ আম্বানিরা। জানা গেছে, গত কয়েক মাসে দলের অন্দরে পরিস্থিতি বদলেছে। এবার রোহিত শর্মার সব শর্তই নাকি মেনে নিতে পারে মুম্বই শিবির।
এমনকী দল গঠনের ক্ষেত্রেও রোহিতের মত নেওয়া হবে। এমনকী সূর্যকুমার যাদবকে আদৌ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক করা হবে কি না, তা নিয়েও রোহিত শর্মার মত নেওয়া হবে। মুম্বই শিবির চাইছে রোহিত, সূর্যকুমার ও বুমরাকে ধরে রাখতে আগামী আইপিএল মরশুমের জন্য।
এদিকে, আবার আগামী মরশুমে সূর্যকুমারকে মুম্বইয়ের নেতৃত্বের দায়িত্বে দেখা যাবে কিনা, সেই প্রশ্নও ঘুরছে। আবার নেতৃত্বের দৌড়ে রয়েছেন জশপ্রীত বুমরাহও। তাঁদের ধরে রাখতে হলে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হবে মুম্বইকে। সেটা হলে কি হার্দিককে ফের দলবদল করতে হবে?
সেই সম্ভাবনার দিকে নজর রাখছে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি। যদিও আইপিএল কর্তৃপক্ষ এখনও জানায়নি যে, কজন ক্রিকেটারকে দলে ধরে রাখা যাবে। তবে সেই তথ্য আসার আগেই জল্পনা শুরু হয়েছে মুম্বইয়ের তারকাদের নিয়ে। কারণ, এই একটিমাত্র দলেই ক্যাপ্টেন্সির দৌড়ে রয়েছেন অনেকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন