সমকালীন প্রতিবেদন : প্রাণ যাওয়ার পর টনক নড়ল প্রশাসনের এবং হাসপাতাল কতৃপক্ষের। এতদিন পর সিসি ক্যামেরার নজরদারি নিয়ে ধরা পড়ল প্রশাসনিক তৎপরতার ছবি। কোথায় লাগানো রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা? তার মধ্যে কতগুলো সচল রয়েছে? এমনকি প্রয়োজনে আরও কয়েকটি কোথায় লাগানো যায়, তা নিয়ে এবার উদ্যোগ নিতে দেখা গেল আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনকে।
জানা গিয়েছে, বর্তমান সময়ে আর জি কর হাসপাতালে সিসি ক্যামেরার বিষয়ের উপর জোর দিয়ে আরও বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা হাসপাতাল চত্ত্বরের বিভিন্ন জায়গায় লাগানোর জন্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। যাতে করে পরবর্তীতে হাসপাতালে সমস্ত ঘটনার রেকর্ড এই সিসি ক্যামেরাতে ধরা পড়ে।
উল্লেখ্য, আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। এইসময় দাঁড়িয়ে ঘটনার তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে গিয়ে প্রাথমিকভাবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের উপর ভিত্তি করেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে।
ওইদিন চারতলায় থাকা চেষ্ট মেডিসিন বিভাগ, যেখানে ওই চিকিৎসকের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেই ঘরের বাইরের সিসি ক্যামেরায় আরও ৪ থেকে ৫ জনের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। জেরায় তাঁদের উত্তরে সঙ্গতি পেলেও, সঞ্জয় রায়ের কথার মধ্যে অসঙ্গতি পাওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
সঞ্জয় জানিয়েছিল, ঘটনার দিন মধ্যরাত্রে সে এক পরিচিতের সঙ্গে সেখানে একজন রোগীকে দেখতে গিয়েছিল। কিন্তু তার কথার পরিপ্রেক্ষিতে কোন সঠিক প্রমাণ না পাওয়ায়, তাকে কড়াভাবে জেরা করা হয়। আর সেই জেরার মুখেই ভেঙে পড়ে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে নেয় বলে পুলিশের দাবি।
তবে এই ঘটনায় আর কে বা কারা জড়িত, সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে ধৃত সঞ্জয় রায়। যদিও শিয়ালদা আদালতের সম্মতি মেলার পর এবার ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করতে চলেছে সিবিআই। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। আর সেই টেস্ট রিপোর্টে কি তথ্য উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন