Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪

আরজিকর কান্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে

 

CBI-Investigation

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌শেষ পর্যন্ত সিবিআই এর হাতেই তদন্তের ভার গেল আরজিকর কান্ডের। মঙ্গলবার দুপুরে এই নির্দেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন বিকেল থেকেই তদন্তের কাজ শুরু করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। একাধিক জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতেই এই দিন এই নির্দেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজের স্নাতকোত্তর বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের পড়ুয়া, মহিলা চিকিৎসকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চারতলার সেমিনার হল থেকে। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, শুধু খুন নয়, তার আগে তাঁর শরীরের উপর পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে এবং এক্ষেত্রে একাধিক অপরাধীর যোগ থাকার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। 

যদিও এই ঘটনায় এপর্যন্ত মাত্র একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে আদালতে তুলেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে আপাতত সে ১৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘটনার পরম্পরায় প্রকাশ্যে আস্তে থাকে যে, এই নারকীয় হত্যাকান্ড একজনের পক্ষে সংঘটিত করা সম্ভব নয়। আরো একাধিক অপরাধী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। আর তাদেরকে বিশেষ কোনো কারণে আড়াল করা হচ্ছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। 

আরজিকর হাসপাতালের এই ডাক্তারি ছাত্রীর নৃশংস খুনের ঘটনায় শুধু রাজ্য নয়, দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দিকে দিকে আন্দোলন সংঘটিত করেছেন চিকিৎসকেরা। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় তার প্রভার পড়ছে। মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনায় তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে সমাজের বিভিন্ন মহলে। প্রত্যেকেই চাইছেন ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক এবং দোষিরা দ্রুত কঠোর শাস্তি পাক। 

এমনই এক পরিস্থিতিতে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল সহ একাধিকজন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁরা হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেন যে, রাজ্য পুলিশ নয়, সিবিআই এর মতো নিরপেক্ষ কোন সংস্থাকে দিয়ে অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত করার ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদেরকে দ্রুত প্রকাশ্যে এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। 

কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আবেদনকারীরা আরো জানিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের প্রতিটি তলার মূল প্রবেশ পথে সিসি ক্যামেরা লাগানো হোক। যাতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে, সেক্ষেত্রে অভিযুক্তদের সহজে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। হাসপাতালের অভ্যন্তরে কারা যাতায়াত করছে, তা সহজে বোঝা যাবে। নিরাপত্তার প্রশ্নে এটি অত্যন্ত জরুরী।

এই আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুর একটার মধ্যে আরজিকর হাসপাতালের ঘটনার কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আর তারপর কেস ডায়েরী খতিয়ে দেখে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এই ঘটনার তদন্তের ভার সিবিআই এর হাতে অর্পণ করার নির্দেশ জারি করেন। বুধবার সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে কলকাতা পুলিশকে এই মামলার যাবতীয় কাগজপত্র কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন