Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪

বিজেপির ডাকা বনধ এ বনগাঁয় দু'ঘণ্টার রেল অবরোধ

 

Bangla-Bandh

সমকালীন প্রতিবেদন : বিজেপির ডাকা বুধবারের ১২ ঘন্টা বাংলা বনধের প্রভাব কিছুটা লক্ষ্য করা গেল বনগাঁ শহরে। বনধের সমর্থনে এদিন সকালে প্রথমেই রেল অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। স্বাভাবিকভাবেই বনগাঁ-শিয়ালদা সেকশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 

ছাত্র সমাজের ডাকে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে বুধবার রাজ্যজুড়ে বাংলা বনধের ডাক দেয় বিজেপি। আর তারই জেরে এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বনধের প্রভাব কমবেশি পড়তে থাকে। 

আর এই বনধ ব্যর্থ করে জনজীবন স্বাভাবিক রাখার চ্যালেঞ্জ নেয় রাজ্য সরকার। স্বাভাবিকভাবেই বনধ সমর্থক এবং বনধ বিরোধীদের মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়। আর তারই জেরে এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটতে থাকে। 

বনধ সফল করতে এদিন সাত সকালেই পথে নেমে পড়েন বিজেপি নেতাকর্মীরা। এদিন সকাল ছটা নাগাদ বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং তাঁর অনুগামীরা বনগাঁ স্টেশনে পৌঁছে যান। তাঁরা রেল লাইনের উপর দাঁড়িয়ে পড়ে রেল অবরোধ শুরু করেন। 

আর এই অবরোধের ফলে এদিন সকালের ৬:১০ এর শিয়ালদাগামী বনগাঁ লোকাল অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনগাঁ জিআরপির প্রতিনিধিরা। তারা অবরোধকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলতে গেলে বিধায়কের সঙ্গে বচসা শুরু হয়, কিছুটা হাতাহাতিও হয়। 

এইভাবে প্রায় দু'ঘণ্টা টানাপোড়েনের পর সেখানে হাজির হন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। বনধের বিরোধিতা করে জনজীবন স্বাভাবিক রাখার আবেদন জানিয়ে রাস্তায় নামেন আইএনটিটিইসির বনগাঁ সংগঠনিক জেলার সভাপতি নারায়ণ ঘোষ‌। তাঁরা বনগাঁ স্টেশন এ পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগেই অবশ্য রেল অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। 

এদিনের বনধের ব্যাপারে বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া বলেন, আরজিকর কাণ্ডে দোষীদের শাস্তি এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে যে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল, তাতে পুলিশের আচরণ একেবারেই সঠিক নয়। আর তার প্রতিবাদে আজ সাধারণ মানুষও বনধকে সমর্থন জানিয়ে এই বনধ এ নিজেদেরকে শামিল করেছেন। 

অন্যদিকে, আইনটিটিউসির বনগাঁ সংগঠনিক জেলা সভাপতি নারায়ণ ঘোষ বলেন, 'বিজেপির এই কর্মনাশা বনধ মানুষ কিছুতেই মেনে নিচ্ছে না। আমরাও এই বনধকে সমর্থন করি না। তাই জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে আমরা পথে নেমেছি। বিজেপির ডাকা এই বনধ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। বনগাঁর জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে।'

বিজেপির ডাকা এই বনধকে ব্যর্থ করতে রাজ্য সরকার কঠোর পদক্ষেপ করে। এদিন সকালে বনগাঁ শহরের প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডের সামনে, রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ কর্মীদের মোতায়েন করে বাস চলাচল এবং অন্যান্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ নেয় পুলিশ। 

সকালের দিকে বনধের কিছুটা প্রভাব পড়লেও বেলা গড়াতেই জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করে। যদিও আর পাঁচটা দিনের তুলনায় এদিন রাস্তাঘাট কিছুটা ফাঁকা ফাঁকা ছিল। অন্যান্য দিনের তুলনায় দোকানপাটও কম খোলা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন