Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪

মাটির নীচ থেকে উদ্ধার বিশ্বের প্রাচীনতম শিরস্ত্রাণ সহ অন্যান্য সামগ্রী

 

Ancient-materials-under-the-ground

সমকালীন প্রতিবেদন : বেশ কয়েক বছর আগের কথা। উত্তরপ্রদেশের এক কৃষক ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে খুঁজে পান ইতিহাসের খনি। খুঁজে পান মেসোপটেমিয়া এবং সুমেরু সভত্যার নির্দশন। এএসআই-এর দ্বারা তিন বিঘা জমি প্রায় ১৩ মাস জমি খুঁড়ে উদ্ধার হয় একটি রথ, কফিন, বিভিন্ন আকারের পাত্র, কঙ্কাল, তামার শিরস্ত্রান। 

গবেষকরা জানান, এইগুলি প্রায় ২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ অর্থাৎ চার হাজার বছর আগের। জানেন কোথায় রয়েছে ইতিহাসের এই অমূল্য ভান্ডার! জায়গাটি হলো উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলার সিনৌলি। এই জায়গাটিতেই খুঁজে পাওয়া গিয়েছে চার হাজার বছর আগের সুমেরু ও মেসোপটেমিয়া সভ্যতার বিভিন্ন নিদর্শন। 

এই সিনৌলি থেকে পাওয়া সব নির্দশনেই কাঠের বস্তুর উপর তামার পাত বা আবরণ দেওয়া। যার কারণে বছরের পর বছর ধরে মাটির নিচে চাপা থাকলেও জিনিসগুলির কোনোরূপ ক্ষতিসাধন হয়নি। এএসআই- এর তরফে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, এই জায়গা থেকে প্রায় ১২৫টি সমাধি উদ্ধার হয়েছে। 

'কার্বন ডেটিং' এর মাধ্যমে এএসআই প্রমাণ করেছেন যে এইগুলি প্রায় ৪০০০ বছরের পুরনো। তবে সিনৌলির সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো তিনটি রথের আবিষ্কার। যা ভারতে আর্যদের আগমন নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্থাপন করেছে। রথের নকশা এবং আকারগুলি প্রমাণ করে সেগুলি ঘোড়ায় টানা রথ ছিল এবং সেগুলো সুমেরু ও মেসোপটেমিয়া সভ্যতার সমসাময়িক। 

তবে এই নিয়ে একাধিক দ্বিমত রয়েছে। অনেকেই সিনৌলির সঙ্গে হরপ্পা সভ্যতার অনেক মিল পেয়েছে। কারণ এএসআই সিনৌলি থেকে রথ ছাড়া একটি মশাল, একটি হাতলযুক্ত তরোয়াল, সুসজ্জিত সমাধিস্থল খুঁজে পেয়েছে। আবার এই নিয়ে অনেক দ্বিমত বিদ্যমান। 

সিনৌলি থেকে যেহেতু তামা উদ্ধার হয়েছে তাই অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন এর সঙ্গে হরপ্পা সভ্যতার কোন মিল নেই কারণ তামা হরপ্পা সভ্যতার পরবর্তী যুগের। অন্যদিকে সিনৌলি থেকে উদ্ধার হওয়া রথ ঘোড়ায় টানা ছিল কিন্তু হরপ্পা সভ্যতায় রথ টানতে ষাঁড়ের সাহায্য নেওয়া হতো। 

সিনৌলির খনন কাজ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এএসআই কর্তা সঞ্জয়কুমার মঞ্জুল জানিয়েছিলেন, খনন কার্যের সময় হরপ্পা সভ্যতার সমসাময় কিছু জিনিস পাওয়া গেলেও সেগুলি হরপ্পা সভ্যতার ছিল না। কারণ হরপ্পা সভ্যতায় সুসজ্জিত সমাধিস্থল উদ্ধার হয়নি। 

২০১৮ সালের খননকার্যের সময় এএসআই সনৌলি থেকে যে জিনিসপত্রের আবিষ্কার হয়েছিল তার থেকে সনৌলির সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়েছে। সিনৌলিতে যে সভ্যতার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে তা থেকে স্পষ্ট সেখানে যুদ্ধের প্রচলন ছিল। এই শতাব্দী সবচেয়ে বড় আকর্ষণীয় জায়গা হিসেবে উত্তরপ্রদেশের সনৌলি যে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তা বলাই বাহুল্য।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন