Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪

পুরীর রত্নভাণ্ডারে কি রয়েছে জগন্নাথের বৈদুর্যমণি? আর কি অমূল্য সম্পদ আছে?

 

সমকালীন প্রতিবেদন : রবিবার খোলা হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রহস্যময় রত্ন ভাণ্ডার। এদিন দুপুর ১টা বেজে ২৮ মিনিটে ‘পবিত্র মুহূর্তে’ খোলা হয় এই ভাণ্ডারের দরজা। এর আগে এই মন্দিরের কোষাগারের দরজা সর্বশেষ ১৯৭৮ সালে খোলা হয়েছিল। 

তখনই শেষবারের মতো রত্ন ভাণ্ডারের সামগ্রীর তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। সেবার ৭০ দিন লেগেছিল সেই কাজ সম্পন্ন করতে। কিন্তু ঠিক কি কি ছিল এই রহস্যময় ভাণ্ডারে? এটা জানার জন্য অনেকেই এখন কৌতূহলী। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, পুরীর মন্দিরের রত্নভাণ্ডারে থাকা সম্পদ সম্পর্কে। 

এর আগে ১৮০৫ সালে প্রথমবার সরকারিভাবে জানা গিয়েছিল যে, পুরীর রত্ন ভাণ্ডারে কী আছে। এই রত্ন ভাণ্ডার আদতে ১১.৮ মিটার উঁচু একটি মন্দির। প্রায় ২০৯ বছর আগে পুরীর তৎকালীন কালেক্টর চার্লস গ্রোম দাবি করেছিলেন, রত্ন ভাণ্ডারে ময়ূরপঙ্খির আকারের মুকুট থেকে শুরু করে সুন্দর কারুকার্য করা সোনা ও রুপোর গয়না আছে প্রায় ৬৪ টি। 

এছাড়াও, শতাধিক মোহর থাকার কথা তিনি উল্লেখ করেছিলেন। এরপর ১৯৫০ সালে শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডিনিস্ট্রেটিভ অ্যাক্ট কার্যকর করা হয়। সেই সময় রত্ন ভাণ্ডারের সোনা-দানার পরিমাণ আরও অনেক গুণ বেশি ছিল।

৪৬ বছর আগের তথ্য অনুযায়ী, পুরীতে জগন্নাথ দেবের রত্ন ভাণ্ডারে মোট ৪৫৪টি সোনার গয়না রয়েছে, যার ওজন আনুমানিক ১২৮৩৮ ভরি। এছাড়াও, এই গোপন কোষাগারে ২৯৩টি রুপোর গয়না রয়েছে, যার ওজন ২২১৫৩ ভরি। 

এরমধ্যে রত্ন ভাণ্ডারের বাইরের যে অংশ রয়েছে, তাতে রাখা আছে জগন্নাথদেবের মণি-মুক্তো জড়ানো সাজসজ্জা। যার মধ্যে রয়েছে ৭৯টি সোনার গয়না এবং ৩৯টি রুপোর গয়না। সঙ্গে রয়েছে নিত্য ব্যবহারের আরও সোনাদানা। ব্রক্ষ্মজ্যোতি হিরে, বলরামের নীলা, সুভদ্রার মণিমুক্তোও রয়েছে। 

ভিতরের ভাণ্ডারে কী কী রয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে ৩৫০-রও বেশি সোনার গয়না ও ২৩০টিরও বেশি রুপোর গয়না আছে বলে জানা যায়। তবে এই ভান্ডার আদৌ কোনো সাপ পাহারা দেয় কিনা, তাও সঠিকভাবে জানা যায়নি। সেই কারণেই হয়তো এতটা রহস্যময় হয়ে রয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের এই রত্ন ভান্ডার। 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন