Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

বাস কর্মীদের মারধর, প্রতিবাদে বন্ধ বাস চলাচল

 ‌

Stop-bus-movement

সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশের পরেও রাস্তা দখল করে চলছে হাট-বাজার। আর তারই প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বাস চালক, কন্ডাকটর এমনকি বাসের যাত্রীও। ঘটনার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস পরিষেবা বন্ধ করে দিলেন বাসকর্মীরা।

রাস্তা দখল করে দীর্ঘদিন ধরেই হাট-বাজার বসছে গাইঘাটার ঝাউডাঙা এলাকায়। আর এর ফলে বাস যাতায়াতের পাশাপাশি সাইকেল বা অন্যান্য যানবাহন নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। তার ফলে বাসকর্মীদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়তে হয় স্থানীয়দেরও। 

শুক্রবার সকালে যথারীতি ৯৬ সি রুটের একটি বাস এই রাস্তা ধরে যাচ্ছিল। এই সময়ে রাস্তার উপরে মালপত্র ছড়িয়ে নিয়ে হাট-বাজার বসে যাওয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। বাসকর্মীরা নেমে মালপত্র সরিয়ে নেওয়ার কথা বলতেই গোলমাল শুরু হয়।

অভিযোগ, এই সময় এই হাট-বাজারের সঙ্গে যুক্ত ছোট ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদী বাস চালক, কন্ডাক্টারকে মারধর করে। এমনকি এক যাত্রী প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। 

এই ঘটনার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনগাঁ থেকে বেড়িগোপালপুর ঘাট পর্যন্ত যাওয়ার ৯৬সি রুটের বাস পরিষেবা বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেন বাসের মালিক এবং কর্মীরা। আর এই সিদ্ধান্তের পরে এদিন থেকেই এই রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

প্রতিবাদীদের অভিযোগ, প্রতি সপ্তাহের সোমবার এবং শুক্রবার ঝাউডাঙা এলাকায় রাস্তা জুড়ে হাট-বাজার বসে। আর এর ফলে এই রাস্তা দিয়ে সেই সময় যাতায়াত অসম্ভব হয়ে পড়ে। সেই ব্যাপারে বলতে গিয়েই আক্রান্ত হতে হলো। বেধড়ক মারধর করা হল বাসকর্মীদের।

এব্যাপারে আইএনটিটিইউসির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নারায়ণ ঘোষ জানান, ঝাউডাঙায় এই হাটের সমস্যা দীর্ঘদিনের। হাটের নির্দিষ্ট জায়গা ছেড়ে হাট মালিক রাস্তার উপরেই হাট বসিয়ে সমস্যা তৈরি করছে। এই ধরনের কাজ যাতে না হয়, তারই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনের উচিত এব্যাপারে একটা সুষ্ঠু মীমাংসা করার। 

এদিকে, বাস চালক, কন্ডাক্টার এবং বাস মালিকদেরও বক্তব্য, হাট মালিকের এই দৌরাত্ম কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। একটি নির্দিষ্ট নিয়ম করে ওই এলাকায় হাটও চালু থাকবে এবং রাস্তাতেও যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকবে– এমনভাবে পরিচালনা করার দায়িত্ব নিতে হবে প্রশাসনকে। আর তারপরেই এই রুটে বাস চালানো হবে।

অন্যদিকে, আচমকা বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন এই রুটের বাসযাত্রীরা। বাসযাত্রীরা চান, জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত স্বাভাবিক হোক এই রুটের বাস চলাচল। প্রশাসনকে এব্যাপারে তৎপর হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন বাসযাত্রীরা।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন