সমকালীন প্রতিবেদন : কাঙ্ক্ষিত বর্ষায় এখন ভিজছে বঙ্গবাসী। তপ্ত রোদে জ্বলে পুড়ে যাওয়ার পর এখন যেন স্বস্তির বৃষ্টিতে মন ময়ূরের মত নাচতে চাইছে। তবে বৃষ্টি পড়ছে বলেই যে তাতে ভিজতে হবে, এমনটা ভাবার কিন্তু কোন কারণ নেই। কর্মসূত্রে যাদের প্রতিদিনই বাইরে বেরোতে হয়, তাঁরা অনেক সময় পরিস্থিতির শিকার হয়ে ভিজে যান।
কিন্তু যারা বাড়িতে রয়েছেন, আর মন চাইছে ভিজতে, তখন কিন্তু মনটাকে সংযত করাই ভালো। আর যদি কোন কারণে ভিজেও যান, তাহলেই তো জ্বর, সর্দি, কাশি শুরু হয়ে যাবে। তবে এই বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও, নিজের শরীরকে কিভাবে সুস্থ রাখবেন, কিভাবে ভালো থাকবেন, জেনে নিন সেইরকমই বেশ কয়েকটি টিপস…
অফিসে যাওয়ার সময় কিংবা কোনও জায়গায় যাওয়ার সময় যদি আপনি বৃষ্টিতে ভিজে যান, তাহলে অবশ্যই সেই গন্তব্যে পৌঁছে আগে ভেজা জামাকাপড় ছেড়ে শুকনো কিছু পড়ে নিতে হবে। নাহলে কিন্তু শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
বৃষ্টির সময় অফিস হোক বা কোথাও যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরোনোর প্রয়োজন হোক, তার আগে যদি সম্ভব হয়, তাহলে ব্যাগে একটি প্ল্যাস্টিকে করে কিছু শুকনো কাপড় সঙ্গে রাখবেন। যদি কোন কারণে আপনি ভিজে যান, তাহলে গন্তব্যে পৌঁছে ওই শুকনো কাপড়টা পড়ে নিতে পারবেন। তবে এক সেট যে অতিরক্ত জামাটা রাখছেন ব্যাগে, সেটা কিন্তু অবশ্যই প্ল্যাস্টিকের ব্যাগেই রাখবেন। নাহলে ব্যাগ ভিজে গেলে, সেটাও ভিজে যাবে।
অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেকের মাথায় বৃষ্টির জল পড়তে না পড়তেই হাঁচি শুরু হয়ে যায়। তাই সকলের উদ্দ্যেশ্যেই জানানো হচ্ছে, বৃষ্টিতে ভিজে গেলে আগে মাথাটা শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নেবেন, জল বসতে দেবেন না।
বৃষ্টির দিনে ভিজে গেলে জুতোটা অবশ্যই খুলে রাখবেন। ভেজা অবস্থায় অফিসে গিয়ে প্রথমেই জুতোটা খুলে ফেলবেন। নাহলে বেশিক্ষণ ভেজা জুতো পড়ে থাকলে পায়ে ইনফেকশন হওয়ার কিংবা পায়ে ব্যথা হওয়ার সমস্যা থেকে যায়। সম্ভব হলে এই বর্ষাকালটা প্ল্যাস্টিকের জুতো ব্যবহার করুন।
আরও সম্ভব হলে, বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফিরে স্নানটা সবার আগে সেরে নিন। তারপর ভালো করে শুকনো গামছা কিংবা তোয়ালে দিয়ে মাথা, শরীর ভালো করে মুছে ফেলুন। এই সময়ের মধ্যে ভুল করেও ফ্যান কিংবা এসির সামনে যাবেন না। নাহলে কিন্তু ঠান্ডা লেগে শরীর আরও খারাপ হয়ে যাবে।
বৃষ্টিতে ভেজার পর গরম কিছু খেতে হবে। চা, কফি, গরম স্যুপ এসব খাবার খেলে উপকার পাবেন। আর এইসব খাবার যদি না খেতে পারেন, তাহলে নিদেনপক্ষে গরম জলটা খাবেন। তাহলে যাদের সর্দি- কাশির ধাত রয়েছে, তাঁরা কিছুটা হলেও শরীরকে রক্ষা করতে পারবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন