সমকালীন প্রতিবেদন : সীমান্ত শহর বনগাঁয় গড়ে উঠলো একটি নতুন ক্ষুদ্রশিল্প। উদ্যোক্তা বনগাঁর ব্যবসায়ী প্রদীপকুমার দে। বনগাঁ শহরের অদূরেই চালু হলো প্লাইউডের এই নতুন ফ্যাক্টরি। আর এর কারণে এখানে বেশ কয়েকজনের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হয়েছে।
রবিবার রথযাত্রার দিন নতুন এই কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো। আর সেই মুহূর্তের সাক্ষী রইলেন সমাজের বিভিন্নস্তরের ব্যক্তিত্বরা। পেট্রাপোলে সীমান্তের দিকে যেতে শহর লাগোয়া যশোর রোডের ধারে কয়েক বিঘা জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে 'ইউনিভার্স প্লাই' নামের একটি শিল্প কারখানা।
প্লাইউড তৈরির ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রদীর দে–র। এতোদিন এতোদিন প্লাইউডের নামী কোম্পানীগুলির সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে এই কারবার করছিলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার নিজেই গড়ে তুললেন একটি প্লাইউডের কারখানা।
এব্যাপারে তিনি জানান, অনেকদিন ধরেই এই ফ্যাক্টরি তৈরি চিন্তা মাথায় ছিল। তারজন্য একটু একটু করে প্রস্তুতি নিয়ে অবশেষে সেটা শুরু করা সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, প্লাইউডের বাজারে যেসব নামী কোম্পানীগুলি রয়েছে, তাদের বিজ্ঞাপন সহ অন্যন্য মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে বরাদ্দ বেশি থাকে।
আর প্রদীপবাবু চান, তাঁর কোম্পানী এখনই ওইভাবে মার্কেটিং এর পেছনে বেশি ব্যয় না করে গুণমান ঠিক রেখে ক্রেতাদের তুলনায় কম দামে ভালোমানের প্লাই তৈরি করে বড় বড় কোম্পানীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে বনগাঁয় শিল্প বলতে তেমন কিছুই নেই। একমাত্র চিরুনি শিল্প তাও ধুঁকছে। আর এই পরিস্থিতিতে প্রদীপ দের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই ফ্যাক্টরি। প্রদীপবাবু জানান, তাঁর এই কারখানায় প্রাথমিকভাবে ৬০ থেকে ৬৫ জন এর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। এই সংখ্যা আগামী দিনে আরো বাড়বে।
বনগাঁর এই কারখানায় উৎপাদিত প্লাই স্থানীয় বাজার ছাড়াও রাজ্য, দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানী হবে। তারজন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোও তৈরি করা হয়েছে। কোম্পানীর নিজস্ব শোরুম ছাড়াও স্থানীয়ভাবে ডিলারদের মাধ্যমে এই কোম্পানীর প্লাই বাজারে পাওয়া যাবে।
প্রদীপবাবু এগিয়ে যান
উত্তরমুছুন