সমকালীন প্রতিবেদন : সোমবার ভোরের আলো ফুটে ওঠার সঙ্গে আরেকটি ট্রফি এলো মারাদোনার দেশে। ফের একবার কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হল মেসির আর্জেন্টিনা। আর এই ট্রফি জিতেই লিওনেল মেসি ছাপিয়ে গিয়েছেন সবাইকে। বলা চলে, এখন তাঁর কক্ষপথে অন্য কেউই নেই।
যদিও কোপা আমেরিকার ফাইনালে মেসি খেললেন ৬৫ মিনিট। চোটের কারণে পুরো ম্যাচ খেলতে পারেননি এই মহাতারকা। সেই আক্ষেপে তাঁকে কাঁদতে দেখেছে ফুটবলবিশ্ব। মিম ছড়িয়েছে, সমালোচিত হয়েছেন, উপহাসের কারণ হয়েছেন।
কিন্তু দিনের শেষে ফুটবলের ময়দানে তিনিই লিখে গেলেন এক নতুন ইতিহাস। মেসির এই কীর্তি হয়তো অক্ষত থাকবে আগামী কয়েক দশক। ক্লাব ও দেশের জার্সিতে মোট ৪৫ টি ট্রফি জিতে নিলেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
তাই এখন তিনি হয়ে উঠলেন ফুটবলের ইতিহাসে সর্বাধিক খেতাবজয়ী ফুটবলার। যেন মেসি নিজের ফুটবলজীবন দিয়ে লিখে গেলেন এক অনন্য রূপকথা। গত ৩ বছরে মেসি চার-চারটি খেতাব জিতেছেন আর্জেন্টিনার জার্সিতে। একটা বিশ্বকাপ, দুটো কোপা এবং ফাইনালিসিমা।
এছাড়াও, বর্ণময় ফুটবল জীবনে ৪ টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাব, বার্সেলোনার জার্সিতে ১০ টি লা লিগা শিরোপা, ব্যক্তিগতভাবে ৮ টি ব্যালন ডি অর খেতাব, ৬ বার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট পেয়েছেন মেসি।
মেসির এই নজির দেখে একটা কথা বলতেই হয়- এক জীবনে আর কত! যদিও জীবনের ৪৫ টি ট্রফির মধ্যে ৩৯ টিই তিনি জিতেছেন ক্লাব পর্যায়ে। তবে দেশের জার্সিতে ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ, ২০০৮ অলিম্পিক গেমস, ২০২১ এবং ২০২৪-এর কোপা আমেরিকা, ২০২২ সালে ফাইনালিসিমা এবং সেই বছরই কাঙ্খিত বিশ্বকাপ জিতেছিলেন এই মহাতারকা।
আর এবার ২০২৪-এর কোপা এল তাঁর ঘরে। যদিও কোপা জিতে উঠে মেসি নিজের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে একটি শব্দও খরচ করেননি। হয়তো শেষবারের মতো কোপা আমেরিকা খেলে ফেললেন। পড়ন্ত বেলার মেসিকে দেখে আর্জেন্টাইন ভক্ত-অনুরাগীরা বলছেন, 'এখনই শেষের গান গেয়ো না।'
কারণ, মেসিকে ছাড়া ফুটবলের ময়দান কল্পনাও করতে পারেন না অনেকে। তাই ভক্তরা চান, মেসি খেলুক, মেসি খেলেই চলুক। যদিও বয়সের কাছে সবাইকেই হার মানতে হয় একটা সময়। মেসিও তার থেকে ব্যতিক্রমী নন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন