সমকালীন প্রতিবেদন : জলাভূমি ভরাট করে বেআইনি নির্মাণ করার অভিযোগে সেই নির্মাণ ভেঙে দিল পুরসভা। বনগাঁ পুরসভার বসাকপাড়া এলাকার ঘটনা। বুধবার পুরসভার প্রধানের উপস্থিতিতে এই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হল।
পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, বনগাঁ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বসাকপাড়া এলাকায় একটি পুরনো জলাশয় রয়েছে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, এই জলাশয়ের আশপাশ দিয়ে বেশ কিছু মানুষ জলাশয় দখল করে তার উপরে অবহিতভাবে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে।
প্রায় দেড় বছর আগে পুরসভা এই ধরনের অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করে। পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানতে পারে যে, মোহন সরকার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জলাভূমি ভরাট করে এই নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
পুরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী, গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি মোহন সরকারকে এব্যাপারে একটি চিঠি করা হয়। সেই চিঠিতে তাকে জানানো হয় যে, তার এই নির্মাণ অবৈধ। তিনি যেন তার নির্মাণ কাজ নিজে থেকে ভেঙে দেন।
এরপরেও পুরসভার কাছে অভিযোগ যায় যে, পুরসভার নির্দেশ অমান্য করে ওই ব্যক্তি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং পুরনো নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার কোন উদ্যোগ নেননি। এরপরেই সোমবার পুরসভার পক্ষ থেকে মোহন সরকারকে ফের একটি চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে বলা হয় যে, আগেও পুরসভার পক্ষ থেকে তাকে নোটিশ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তিনি এ ব্যাপারে কর্ণপাত না করায় পুরসভার পক্ষ থেকে এই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হবে।
সেইমতো এদিন সকালে পুরসভার প্রতিনিধিরা বুলডোজার এবং অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে গিয়ে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেন। যদিও অভিযুক্তদের বক্তব্য, চিঠি পাঠানোর মাত্র একদিন পরেই পুরসভা এই নির্মাণ ভেঙে দিয়ে গেছে। তাদেরকে আর একটু সময় দিলে তারা নিজেরাই বিল্ডিং ভেঙে নিতেন।
এব্যাপারে বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠ জানান, 'মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন যে, রাজ্যের যেখানেই কোন বেআইনি নির্মাণ সরকারের নজরে আসবে, সেই নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হবে। আর সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতেই মোহন সরকারের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হলো।'
পুরপ্রধান আরো বলেন, 'ওই ব্যক্তিকে প্রায় দেড় বছর আগে পুরসভার পক্ষ থেকে সতর্ক করা হলেও তিনি কোন উদ্যোগ নেননি। ফলে পুরসভা নিজে থেকেই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দিতে বাধ্য হলো। এই জলাশয় বুজিয়ে আরো যারা অবৈধ নির্মাণ করেছে, সে ব্যাপারেও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন