সমকালীন প্রতিবেদন : বর্তমানে ভারতের অন্যতম প্রধান স্পিনার হলেন কুলদীপ যাদব। বিশ্বকাপে একের পর এক উইকেট নিয়ে বিপক্ষকে দুর্বল করেছেন এই বাঁ-হাতি লেগ-স্পিনার। তবে বাঁ হাতে কেউ কব্জি দিয়ে বোলিং করলেই তাঁকে চায়নাম্যান বলে ডাকা হয়।
শুধু কুলদীপ যাদবই নন, অতীতে এমন অনেক বোলারই এসেছেন। পল অ্যাডামস হোক বা অস্ট্রেলিয়ার ব্র্যাড হজ। তাঁদের চায়নাম্যান বলেই ডাকা হত। কিন্তু এই চায়নাম্যান শব্দটা এল কিভাবে? আর কেনই বা বাঁ হাতি লেগ স্পিনারকে চায়নাম্যান বলা হয়?
এটি নিশ্চয়ই অনেকে ভেবেছেন। কিন্তু তারা জানেন না যে, এর নেপথ্যেও একটি গল্প রয়েছে। সালটা তখন ১৯৩৩। ইংল্যান্ডের ওল্ড ট্রাফোর্ডের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ চলছে ইংরেজদের।
সেই ম্যাচে ক্যারিবিয়ান বোলার এলিস এডগার আচং আচমকা অভিনব উপায়ে এক বল করেন। আর সেই বলে তিনি স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন ইংল্যান্ডের ওয়াল্টার রবিন্সকে। এর আগে ছয়টি টেস্ট ম্যাচ খেলা আচং ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এবং স্লো লেফট আর্ম অর্থোডক্স বোলার।
কিন্তু আচং সেদিন বাঁ হাত লেগস্পিন করেন, যা গুগলির মতো ঢুকে যায়। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে রবিন্স লাইন মিস করেন এবং স্টাম্প আউট হয়ে যান। রবিন্স কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না এই আউট।
তাই তিনি রাগে গজরাতে গজরাতে মাঠ ছেড়ে যাবার সময় আম্পায়ারকে বলেন, ‘ফালতু চায়নাম্যানের এ এক খামখেয়ালি।’ কথাটি ইংল্যান্ডে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় এবং পরে ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র ক্রিকেট বিশ্বে।
রবিন্স খামখেয়ালি বলতে বোলারকে বুঝিয়েছেন নাকি বলটিকে বুঝিয়েছেন তা স্পষ্ট না হলেও ‘চায়নাম্যান’ শব্দটি এর পর থেকেই বাঁ-হাতি আন-অর্থোডক্স স্পিনের সমার্থক হয়ে ওঠে। বাঁ-হাতি লেগ স্পিনারদের কিংবা বাঁ-হাতে করা লেগ স্পিনকে বোঝাতে তাই ‘চায়নাম্যান’ কথাটা উঠে আসে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন