সমকালীন প্রতিবেদন : কথায় বলে চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ো ধরা! কিন্তু একি, চোর যে চুরি করার পর একটা চিঠি লিখে চলে গেল। আর সেটা খুলতেই অবাক হলেন সকলে। চিঠিতে লেখা, 'পরিস্থিতির চাপে পড়ে চুরি করেছি। এক মাসের মধ্যেই সব ফেরত দিয়ে দেব।
কি অবাক হচ্ছেন তাই তো! ভাবছেন বুঝি কোন সিনেমার দৃশ্যপট! একেবারেই না। এমনই আজব ঘটনা ঘটল তামিলনাডুর তুতিকোরিন জেলায়। বছর ৭০-র সেলভিন এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং শিক্ষিকা। সম্প্রতি বাড়ির দায়িত্ব এক পরিচারিকার হাতে দিয়ে চেন্নাইতে ছেলের কাছে গিয়েছিলেন তাঁরা। আর তাতেই ঘটে যায় বিপত্তি।
সূত্রের খবর, ওই পরিচারিকা এরই মধ্যে একদিন সেলভিনের বাড়ি পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখেন, ঘরের দরজা ভাঙ্গা, এমনকি আলমারিও ভাঙ্গা, ঘরের সবকিছু ছড়ানো ছেটানো, লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে সবকিছু।
বিন্দুমাত্র দেরী না করে ওই পরিচারিকা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে সমস্ত বিষয়টা খতিয়ে দেখে। জানা যায়, ৬০ হাজার টাকা, সোনা ও রূপোর কিছু জিনিস মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ টাকার জিনিস চুরি গিয়েছে সেলভিনের বাড়ি থেকে।
তল্লাশি করতে গিয়ে পুলিশ এরপর যে জিনিসটি দেখে, তাতে করে অবাক হয়ে যায় সেখানে উপস্থিত সকলেই। চোর কি কি জিনিস চুরি করে নিয়ে গেছে, তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে সেখান থেকে একটি চিঠি উদ্ধার করে পুলিশ। আর সেই চিঠিটি লিখেছে চোর নিজেই।
সেখানে যা লেখা ছিল তার অর্থ হল, 'আমি পরিস্থিতির শিকার হয়ে চুরি করতে বাধ্য হয়েছি। আমার পরিবারে একজন খুবই অসুস্থ। তাঁকে সুস্থ করার জন্যই এই চুরিটা করতে বাধ্য হয়েছি। তবে এক মাসের মধ্যে আমি সমস্ত টাকা ফেরত দিয়ে দেব। এই ঘটনার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।'
এমন চিঠি পেয়ে হতবাক পুলিশ সহ সেখানে উপস্থিত সকলেই। এমন ঘটনা আগে বাস্তবে ঘটেছে বলে তো মনে হয় না। পরিস্থিতির চাপে পড়ে চুরি করেছে, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু তাই বলে চুরির গয়না এবং টাকা এক মাসের মধ্যে ফেরত দেবে চোর!
এই বিষয়টা ঠিক হজম হয়নি পুলিশ কর্তাদের। বিষয়টি মানবিকভাবে দেখে চুরি যাওয়া জিনিসের মূল্যের কথা ভেবেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আদৌ চোরের কথা কতখানি সত্যি, তা তদন্ত করেই জানা যাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন