Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ২০ জুলাই, ২০২৪

বিশ্বকাপ জিতেও দাম্পত্য টিকলো না হার্দিকের, বিচ্ছেদ হলো স্ত্রী নাতাশার সঙ্গে

 

Hardik-marriage-did-not-last

সমকালীন প্রতিবেদন : হার্দিক পাণ্ডিয়ার সময়টা সত্যিই ভাল যাচ্ছে না। আসন্ন সিরিজে ভারতীয় টি-২০ দলের অধিনায়ক করা হয়নি তাঁকে। তাঁর পরিবর্তে দলের দায়িত্ব পেয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। এবার হার্দিকের পারিবারিক জীবনেও ঘটে গেল এক বড় ঘটনা। হার্দিক ও তাঁর স্ত্রী নাতাশার চার বছরের সম্পর্কের ইতি ঘটে গিয়েছে। 

হার্দিক ‌এবং নাতাশা দুজনেই তাঁদের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জানিয়েছেন, আমরা এবার থেকে আলাদা থাকব সিদ্ধান্ত নিলাম। বিদেশিনী নাতাশা লিখেছেন, আমি ও হার্দিক দুজনেই চেষ্টা করেছিলাম সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু সবটা ভাল হল না। আমাদের পথ আলাদা হয়ে গেল এবার থেকে। তবে আমাদের একমাত্র সন্তান পুত্র অগস্তকে দুজনে আলাদা থেকে বড় করে তুলব। আমাদের পুত্রের দায়িত্ব আমাদের দুজনেরই। 

যদিও তাঁদের সম্পর্কের শুরুটা এমন ছিল না। প্রেম ও ভালোবাসা দিয়েই হার্দিক ও নাতাশার দাম্পত্যের ভূমিকা রচনা হয়েছিল। শোনা যায়, ২০১৮ সালের এক নাইটক্লাবে আলাপ হয়েছিল হার্দিক ও নাতাশার। সেখান থেকেই বন্ধুত্বের সূত্রপাত। 

তখনও অবশ্য নাতাশা জানতেন না যে, হার্দিক একজন ক্রিকেট তারকা। তবে প্রথম দর্শনেই অভিনেত্রীর প্রেমে পড়ে যান হার্দিক। নিজের জন্মদিনে নাতাশাকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন হার্দিক। এই সময়েই দু’জনকে একসঙ্গে দেখা যায়। 

এই গল্পটা অবশ্য হার্দিক নিজেই জানিয়েছিলেন। আর এভাবেই তাঁরা সম্পর্কে আসেন এবং ভবিষ্যতে একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর থেকেই একসঙ্গে বহু পার্টিতে দেখা যেতে থাকে হার্দিক ও নাতাশাকে। 

তবে ২০২০ সালের আগে কেউই সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি। হার্দিকের মনে হয়েছিল, নাতাশাই সেই মানুষ, যাঁর সঙ্গে গোটা জীবন কাটাতে পারবেন। এরপর ২০২০ সালে একেবারে ফিল্মি ধাঁচে নাতাশাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন হার্দিক। ইয়টে গোটা পর্বটি হয়েছিল। 

এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও পড়েছিল। এর মধ্যেই কোভিড ১৯-এর জেরে লকডাউন শুরু হয়। তা চলাকালীন আচমকাই দু’জন নিজেদের অফিসিয়াল ইনস্টা অ্যাকাউন্টে নিজেদের বিয়ের ছবি শেয়ার করেন। 

২০২০ সালে আইনি বিবাহের কিছুদিনের মধ্যেই সন্তান আগমনের খবর দিয়েছিলেন তারকা দম্পতি। কিন্তু তারপর নানা কারণে তাঁদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। সেই ফাটল বাড়তে বাড়তে আজ বিচ্ছেদের উপসংহার লিখে গেল। হয়তো এটাকেই জীবনের নির্মম পরিহাস বলা যায়। 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন