সমকালীন প্রতিবেদন : সদ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। আইসিসি ট্রফির খরা কাটিয়ে যেন নতুন উদ্যমে টিম ইন্ডিয়া। আর এই কাজে বেশ বড় ভূমিকা পালন করেছেন দলের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া।
যদিও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে রোহিতকে সরিয়ে ক্যাপ্টেন করা হয়েছিল তাঁকে। সেই কারণে একের পর এক ম্যাচ হারতেই সমর্থকদের বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়েছিল।
পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়েছিল। কারণ, প্লেয়ার হিসেবেও পারফর্ম করতে পারছিলেন না হার্দিক। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপাতেই অবশ্য অন্য হার্দিককে দেখা যায়। গ্রুপ এবং সুপার এইট পর্বে কার্যত প্রতি ম্যাচেই ব্যাটে-বলে অবদান রেখেছেন তিনি।
এসব ছাড়াও আলাদা করে ফাইনাল ম্যাচের কথা বললে, একটা সময় মনে হয়েছিল ভারতের হাত থেকে ম্যাচ বেরিয়ে যাচ্ছে। তবে স্লগ ওভারে বুমরাহ, অর্শদীপের পাশাপাশি হার্দিক পান্ডিয়ার বোলিং ভারতকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দেয়। এবার সেই কীর্তির পুরস্কার পেলেন পান্ডিয়া।
বড় সাফল্য মিলল আইসিসি ক্রমতালিকাতেও। সদ্য ঘোষিত আইসিসি অলরাউন্ডারদের তালিকায় দু-ধাপ উন্নতি হয়েছে তাঁর। শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গাকে সরিয়ে অলরাউন্ডারের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করলেন ভারতের বিশ্বজয়ের অন্যতম হিরো হার্দিক পান্ডিয়া।
উল্লেখ্য, এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে মোট ১৪৪ রান করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে তাঁর বেশিরভাগ রানই এসেছে দলের কঠিন সময়ে। আর এই রান তিনি করেছেন ১৫০-এরও বেশি স্ট্রাইক রেটে।
পাশাপাশি, টুর্নামেন্টে নিয়েছেন ১১টি উইকেটও। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট ফাইনালে বিধ্বংসী ব্যাটিং করা প্রোটিয়া ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেনের। শেষ ওভারেও বোলিং করেছিলেন হার্দিক। মাত্র ১৬ রান ডিফেন্ড করতে হতো তাঁকে।
মিলারকে ফেরান, ভারতের ৭ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন কুংফু পান্ডিয়া। যার পুরস্কার বাবদ বিশ্বকাপ, সোনার মেডেল সহ এবার আইসিসির নম্বর ওয়ান অলরাউন্ডারও হয়ে গেলেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন