সমকালীন প্রতিবেদন : বিশ্বকাপে দলে সুযোগ হয়নি, কিন্তু দলকে উৎসাহ দিতে গ্যালারিতে হাজির ছিলেন রিঙ্কু রিং। বাড়তি হিসেবে দলে থাকা বাকিরা ফিরে গেলেও ফাইনালে বিরাট কোহলির সঙ্গে নাচ দেখিয়েছেন রিঙ্কু। এখন যেন রিঙ্কু শুধুমাত্র কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান বা ভারতের উঠতি ফিনিশার নন।
রিঙ্কু এখন ভারতীয় দলের সিনিয়র থেকে জুনিয়র সবার ফেভারিট হয়ে উঠেছেন। আসলে দলের জার্সিটার মানে তো তারাই ভালো বোঝে, যারা সেটা কষ্ট করে উপার্জন করে। আলীগড়ের রিঙ্কুর কাছেও এই জার্নিটা সহজ ছিল না এক্কেবারে।
ক্রিকেট খেলার আগে সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তাঁর দাদা একটি ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে ক্রিকেট শিখতেন। সেখানেই সাফাইকর্মীর কাজ করতেন তরুণ রিঙ্কু। কিন্তু যার মনে ক্রিকেট থাকে, তাঁকে কি বেশিদিন ক্রিকেট থেকে দূরে রাখা যায়! সেটাই হয়েছে রিঙ্কুর কাছে।
গত বছর আইপিএলে নিজের দক্ষ খেলা দিয়ে নজর কেড়েছেন দর্শকের। হয়ে উঠেছেন কলকাতার ঘরের ছেলে। আর আজ টিম ইন্ডিয়ার উদীয়মান ক্রিকেটারদের মধ্যে রিঙ্কু সিং যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। রিঙ্কু আজ নিজের যোগ্যতার প্রতি সুবিচার করেছেন এবং কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি করে ফেলেছেন তিনি। কারণ, এখন তাঁর সময় বদলেছে।
সূত্র বলছে, প্রতি বছর রিঙ্কু ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা উপার্জন করেন। ২০২৪ সালের এপর্যন্ত তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৭ কোটি টাকা। যেহেতু আইপিএল টুর্নামেন্টে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি, তাই কেকেআর ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে বছরে ৫৫ লাখ টাকা করে দেয়। এছাড়া, বিভিন্ন এন্ডোর্সমেন্ট, ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচ এবং ক্রিকেট সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রোগ্রাম থেকে তিনি উপার্জন করে থাকেন।
তাই এবছরের শুরুতেই রিঙ্কু সিং আলিগড়ের ওজন সিটিতে ২০০ গজের জোড়া প্লট কিনেছেন। শোনা যাচ্ছে, এখানেই তিনি বাড়ি তৈরি করে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করবেন। ছোট্ট বাড়ি থেকে এবার স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু হবে রিঙ্কু ও তাঁর পরিবারের। এর থেকে ভালো অনুপ্রেরণার গল্প আর কিই বা হতে পারে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন