Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

লম্বা সফরের ক্লান্তি ভুলে ট্রফি হাতে গোটা দিন সেলিব্রেশন টিম ইন্ডিয়ার

 ‌

Celebration-of-Team-India

সমকালীন প্রতিবেদন : ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি ২০ বিশ্বকাপ জয়ের পর বৃহস্পতিবারই দেশে ফিরেছে টিম ইন্ডিয়া। তারপর প্রথমে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার পর, মুম্বইয়ে এসে বিজয়-উৎসবে সামিল হয়ে ওয়াংখেড়েতে সংবর্ধনা দেওয়া হয় চ্যাম্পিয়ন দলকে। 

এত সবের মাঝেও যেন দলের প্লেয়ারদের মধ্যে কোনও ক্লান্তিই নেই। ভারতীয় দল মুম্বই বিমানমন্দরে নামার পর, তাঁদের দেওয়া হয় ওয়াটার ক্যানন স্যালুট। দমকলের দু'টি ইঞ্জিন বিমানের দু'দিকে দাঁড়িয়ে এই ওয়াটার ক্যানন স্যালুট দেয় বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলকে। 

বিমানের সামনে তিনটি গাড়ি ছিল। তার মধ্যে মাঝের গাড়িতে ছিল ভারতের জাতীয় পতাকা। বিশ্বজয়ীদের বরণ করার জন্য মুম্বই বিমান বন্দরে ছিল বিশেষ ব্যবস্থা। সেখান থেকে বেরিয়ে নরিম্যান পয়েন্টে পৌঁছে একটি হুডখোলা বাসে চড়ে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে বিজয় প্যারেড করে। 

বৃহস্পতিবার ১৬ ঘণ্টা বিমানযাত্রার পর দিল্লিতে পৌঁছান ক্রিকেটারেরা। তারও ১৩ ঘণ্টা পর রোহিতরা পৌঁছান মুম্বইতে। দিল্লির হোটেলে যে ক্রিকেটারদের কিছুটা ক্লান্ত দেখাচ্ছিল, তাঁদেরই মুম্বইয়ে হুডখোলা বাসে বেশ চনমনে লেগেছে। 

লম্বা সফরের ধকল সরিয়ে বিশ্ববিজয়ীরা যেন তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন প্রতিটি মানুষের ভালোবাসা। সেটাই হয়তো টিম ইন্ডিয়ার প্লেয়ারদের চনমনে করে দিয়েছে। আরব সাগরের তীরের জনজোয়ারে অবশ্য রোহিত-বিরাটদের হুডখোলা বাস খুব ধীর গতিতে এসে পৌঁছায় ওয়াংখেড়েতে। 

এদিন মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্ট থেকে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়ার জন্য ভিকট্রি প্যারেডের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রায় ২ কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করে ভারতীয় দল। মেরিন ড্রাইভ জুড়ে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। 

এরপর দল রাত ৯টা নাগাদ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে পৌঁছায়। সেখানে ট্রফি নিয়ে মাঠ ঘোরার সময়ে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলিদের ‘চক দে ইন্ডিয়া’ গানের সঙ্গে নাচতে দেখা যায়। দুই তারকার সঙ্গে যোগ দেন পুরো টিমই। ওয়াংখেড়ে জুড়ে তখন শুধুই আবেগের বিস্ফোরণ। 

২০১১ সালে এই ওয়াংখেড়েতেই মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ওডিআই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। আর এদিন ধোনির দলের বিশ্বজয়ের মাঠে রোহিতের দলের সংবর্ধনায় যেন পূর্ণ হল একটি বৃত্ত, যার কারিগর অনেক, কিন্তু জার্সির রং একটাই- সেটা হল নীল।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন