সমকালীন প্রতিবেদন : বর্তমান সময়ে স্বামী-স্ত্রীর ডিভোর্স হওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানা কারণে সম্পর্ক ভঙ্গের সিদ্ধান্ত নিতে হয় অনেক দম্পতিকেই। অনেক সময় ডিভোর্সের মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। কিছু ক্ষেত্রে সম্পর্ক ঠিক হলেও, বহু সময় দেখা যায় স্বামী–স্ত্রীর সুখের সেই দাম্পত্য জীবন ভেঙে যায় আদালতের রায়ে।
তবে এদিন বনগাঁ আদালত যেন দেখল একেবারে ভিন্ন ছবি। যা সমাজে এধরনের বিচ্ছেদের সম্পর্ককে দিল বড় বার্তা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটলে তার সরাসরি প্রভাব গিয়ে পড়ে সন্তানের উপর। তেমনটাই হচ্ছিল শম্ভুনাথ পালের শিশুকন্যার সঙ্গে। শম্ভুনাথ এবং তার স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদের জন্য লড়ছেন আদালতে।
কিন্তু বাবা-মায়ের এই লড়াইয়ে কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছিল তাদের একরত্তি মেয়ে সুনয়নার শৈশব। এমনকি জন্মদিনের মতো বিশেষ দিনেও তার কাছে ছিল না বাবা-মায়ের স্নেহ। আর তাই তার বাবা এদিন বনগাঁ আদালতে একটি পিটিশন ফাইল করেন। যেখানে তিনি আদালতের কাছে মেয়ের জন্মদিন পালনের জন্য আবেদন করেন।
মামলা বিবাদের উর্দ্ধে গিয়ে এদিন বনগাঁ আদালতের বিচারপতি শম্ভুনাথ পালকে সেই অনুমতি দেন। আর আদালতের অনুমতিতে আদালত চত্বরে হল বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় চলা স্বামী স্ত্রীর চার বছরের কন্যা সন্তান সুনয়না পালের জন্মদিন। এদিন মেয়েকে পেয়ে খুশি বাবা।
এই ঘটনা যেন মানবিকতার এক নিদর্শন হয়ে রইল। হয়তো বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদের মাঝে এই বিশেষ কিছু দিন সন্তানদের শৈশবকে বাঁচিয়ে রাখে। তাই তো বলা যায়, মানবিকতা এখনো হারিয়ে যায়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন