সমকালীন প্রতিবেদন : সরকারি কৃষি মান্ডিতে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে আন্দোলনে নামলেন কৃষকেরা। আর কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে দালালচক্রকে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের কৃষক সেলের নেতারা। এরপরেও দালালচক্র সতর্ক না হলে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সতর্কবার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা।
দরিদ্র কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসলের যাতে ন্যায্য মূল্য পান, তার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে কৃষি মান্ডি তৈরি করেছে তৃণমূল সরকার। সেখানে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসল এনে সরাসরি পাইকারি সবজি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করার সুযোগ পাবেন। সেখানে কোনও দালালচক্রের হস্তক্ষেপ থাকবে না। আর সেই উদ্দেশ্যেই এই কৃষি মান্ডিগুলি তৈরি করা হয়।
কিন্তু গাইঘাটার কৃষি মান্ডিতে সেই দালালচক্রের উৎপাতে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসল সঠিকভাবে বিক্রি করতে পারছেন না। ন্যায্যমূল্যও পাচ্ছেন না। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ বাড়ছে কৃষকদের মধ্যে। আর তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কৃষিমান্ডির গেট বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন কৃষকেরা।
ঘটনাস্থলে পৌঁছান তৃণমূলের কৃষক সেল এবং আইএনটিটিইউসির নেতারা। তারা কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে দালালচক্র বন্ধ করার দাবি তোলেন। মাইকে তারা দালালদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করেন, কৃষকদের সমস্যায় ফেলে এই দালালচক্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা যদি এখনই সতর্ক না হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে তৃণমূলের কৃষক সেল এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কৃষকদের স্বার্থে এই কৃষি মান্ডি তৈরি করেছেন। দালালচক্রের হাত থেকে রেহাই পেতে কৃষকেরা যাতে এই কৃষি মান্ডিতে এসে সরাসরি তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পান তার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে কোনভাবেই দালালদের দৌরাত্ম মেনে নেওয়া হবে না।
এদিন কিছুক্ষণের জন্য কৃষি মান্ডির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে প্রতীকি প্রতিবাদ করা হয়। এই কৃষি মান্ডিতে আসা ক্ষুব্ধ কৃষকেরা জানান, কৃষি মান্ডিতে ঢোকার রাস্তাটা যথেষ্ট সরু। আর ভেতরে ঢোকার পর ফসল বিক্রি করার মতো পরিবেশ পরিস্থিতি থাকে না। তার উপরে রয়েছে দালাল চক্রের উৎপাত। তারা নিজেরাই নিজেদের ইচ্ছেমতো ফসলের দাম নির্ধারণ করে। ফলে তাদের অত্যাচারে কৃষকেরা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন