Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪

খাওয়া থেকে রুপচর্চা, আমের উপকার রয়েছে সবেতেই

 ‌

Benefits-of-Mango

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌তপ্ত গরমে গা দিয়ে ঘাম গড়িয়ে পড়ার মাঝেই রসালো আমের স্বাদ নেওয়া। উফ…। বাঙালি যেন সারাটা বছর এই আমের জন্যই গরমকালের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে। গ্রীষ্মে একদিকে যেমন অসহ্য গরম থাকে, তেমনই থাকে নানারকমের আম খাওয়ার আনন্দও। তাই মাত্র তিন মাসের এই ফল খাওয়ার লোভে অনেকেই গরমের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করতেও রাজি।

হিমসাগর, গোলাপখাস, ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলি… নানা জাতের আম থাকলেও, আমের একটাই নাম… সেটা হল সুস্বাদু রসালো ফল আম। এই গরমে যদি আমই না খেলেন, তাহলে আর কিই বা করলেন। ব্রেকফাস্ট হোক বা লাঞ্চ কিম্বা ডিনার… বাঙালি যেকোনও সময়ে আম খেতে রাজি। 

তবে চিকিৎসকরা বলছেন, সকালে, দুপুরে আম খেলেও, রাতে কিংবা ঘুমাতে যাওয়ার আগে আম খাওয়া উচিত নয়। এতে হজমের নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। আবার আম পেলাম বলেই যে পেট ভরে আম খেয়ে নেবেন, সেটাও কিন্তু ঠিক নয়। 

আমে ফ্রুকটোজের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে, দিনে মাত্র এক কাপ করে পাকা রসালো আম আপনি খেতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরে মেদও বাড়বে না এবং আপনার সুগার, ক্যালোরি সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

আবার এই গরমে অনেকেই আছেন, বাজারে গিয়েই ব্যাগ ভর্তি করে আম কিনে নিয়ে আসছেন। কিন্তু আপনি কি বুঝতে পারছেন, কোনটা গাছপাকা, আর কোনটা রাসায়নিক দিয়ে পাকানো। গাছ পাকা আম কোনও ক্ষতি না করলেও, রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম খেলে শরীরে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। তাই আম কেনার আগে ভালো করে দেখে নেবেন। 

কিন্তু গাছপাকা আম চিনবেন কিভাবে…। শুনে নিন… আমের গায়ে যদি হলুদ সবুজ প্যাচানো দাগ থাকে, আম শক্ত হয়, এমনকি জলে ফেললে তা ভেসে ওঠে, তাহলে বুঝবেন সেগুলি রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম। আর যদি আমের গা নরম থাকে, জলে ফেললে ডুবে যায় এবং হলুদ সবুজের সংমিশ্রন থাকে আমের গায়ে, তাহলে এই গাছ পাকা আম আপনি নির্দ্বিধায় কিনতে পারেন।

এবার দেখুন, আপনি হয়তো আম খেতে খুবই ভালোবাসেন। আম হয়তো আপনার প্রিয় ফল। কিন্তু অনেকেই আছেন, যারা খাওয়ার জন্য নয়, রূপচর্চার জন্য বাজার থেকে আম কিনে আনেন। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আমের ভিটামিন সি ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন করে এবং আমে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। 

তাই যদি আপনি গোলাপ জলের সঙ্গে আম ব্লেন্ড করে মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে কিন্তু আপনি সুন্দর ত্বকের অধিকারী হবেন। আম নিয়ে গল্প করতে গিয়ে, আমের উৎস সম্পর্কেই তো জানানো হল না আপনাদের। শুনুন তাহলে, তিন হাজার বছর আগের ‘বৃহদারণ্যক উপনিষদ’-এ প্রথম উল্লেখ পাওয়া এই আমের 

আজ পর্যন্ত কিন্তু সমানভাবেই ফেমাস হয়ে রয়েছে। বাঙালির পুজোর ঘটে আমের পল্লব থেকে শুরু করে শাড়িতে আমের কলকা… সব জায়গাতেই দেখতে পাওয়া যায় এই আম। সবমিলিয়ে এই আমকে কিন্তু আবার ফলের রাজাও বলা হয়। তবে যাই হয়ে যাক, গরমে সেদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি এই ৩ মাস চুটিয়ে আম খাওয়ার লোভটা কিন্তু কোনভাবেই সামলাতে পারে না বাঙালী। 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন