সমকালীন প্রতিবেদন : জালিয়াতি সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ এনে বাগদা বিজেপির এক যুব নেতাকে গ্রেপ্তার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ বাহিনী। ধৃতের নাম বিক্রম রায়। সে বিজেপির বাগদা ২ নম্বর মন্ডলের যুব সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ট্রানজিট রিমান্ডে আজই তাকে উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, বাগদার আষাঢ়ু গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঙুলিয়া গ্রামে বাড়ি বিক্রম রায়ের। পেশায় তিনি একজন টোটোচালক। পাশাপাশি, রাজনৈতিকভাবে বিজেপির একজন সক্রিয় কর্মী। আর তার বিরুদ্ধেই জালিয়াতি, বাংলাদেশি নাগরিক সহ বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে।
একটি তদন্তের সূত্র ধরে সোমবারই উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌ অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড এর এক প্রতিনিধিদল সোমবার বাগদা থানায় হাজির হয়। তারা বিক্রম রায়কে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বাগদা থানার পুলিশের সহযোগিতা চান। এরপর বাগদা পুলিশের সহযোগিতায় সোমবার বিকেলে গাঙুলিয়া থেকে বিজেপির এই যুব নেতা কে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধৃত বিক্রমের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪১৯, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭০, ৪৭১ ধারা এবং ১৪ ফরেনার্স অ্যাক্টে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালতের কাছে ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তদন্তকারী দল।
সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বনগাঁর এসিজেএম আদালতের বিচারক অভিযুক্তকে ৩ দিনের জন্য ট্রানজিট রিমান্ডে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন। সেই অনুযায়ী এদিন রাতেই তাকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের প্রতিনিধিরা।
এব্যাপারে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মন্ডল বলেন, 'বিক্রম টোটো চালিয়ে সংসার চালায়। আর সেই সুবাদেই কিছুদিন আগে কয়েকজন যাত্রীকে সে তার টোটোতে করে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। কিন্তু তারা কারা, তা তার পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না। পরে জানা যায়, ওই যাত্রীরাই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে বিক্রমের নাম করে।'
জেলা সভাপতি আরও বলেন, 'সেই তদন্তের স্বার্থেই তাকে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে তদন্তে যদি সে দোষী প্রমানিত হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তাই নেওয়া হোক। কিন্তু যদি সে দোষী না হয়, তাহলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যাবে, এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তদন্তকারীরা।'
অন্যদিকে, এসম্পর্কে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানান, 'বিজেপির নেতারা চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের এদেশে ঢোকাচ্ছে। আর তারাই দেশের ভেতরে বিভিন্ন জঙ্গি কার্যকলাপ ঘটাচ্ছে। এই ধরনের কাজে যারা যুক্ত, বিজেপি তাদের বড় পদ দিয়ে রেখেছে। এটা বিজেপির লজ্জা।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন