সমকালীন প্রতিবেদন : আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বহিরাগতদের বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। আর এভাবেই এলাকায় বহিরাগতদের ঢুকিয়ে তাদের মাধ্যমে বাগদা উপনির্বাচনে সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে তৃণমূল। উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে এমনই অভিযোগ তুললো বিজেপি।
বুধবার বাগদা বিধানসভার উপনির্বাচন। আর এই নির্বাচনে সক্রিয় সব পক্ষই। এই বিধানসভাকে নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া শাসক–বিরোধী সব শিবিরই। নির্বাচনী প্রচারে তার আঁচ ভালোভাবে টের পাওয়া গেছে।
তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে এক একদিন দলের একাধিক বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী বাগদা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে প্রচার চালিয়েছেন। বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে এসেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মতো হেভিওয়েট নেতারা।
এইরকম একটি আবহে মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মন্ডল অভিযোগ করলেন, 'নির্বাচনের সময় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এলাকায় ঢোকাচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।'
তিনি অভিযোগ করেন, 'যেসব এলাকায় শাসকদলের ভোট নেই, সেই সব জায়গায় তৃণমূল আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। ভোটের দিন ভোটারদের ভয় দেখানো থেকে শুরু করে ভোট দিতে না দেওয়া, ছাপ্পা ভোট দেওয়ার মতো অনিয়ম এই বহিরাগতদের দিয়ে করানো হবে।'
আশঙ্কাপ্রকাশ করে এদিন দেবদাস মন্ডল বলেন, 'সবথেকে বেশি সন্ত্রাসের আশঙ্কা রয়েছে আষাঢ়ু, মালিপোতা, বয়রা ইত্যাদি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। মূল যে অঞ্চলে তৃণমূল দূর্বল, সেইসব এলাকায় এই বহিরাগতদের দিয়ে ভোট লুট করার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। আর এই বহিরাগতরা বেশিরভাগই এসেছে স্বরুপনগর এলাকা থেকে।'
এব্যাপারে ইতিমধ্যেই বাগদার বিভিন্ন এলাকার নাম দিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে মৌখিক এবং লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, 'বহিরাগতদের বিষয়ে বারংবার পুলিশকে জানানো সত্বেও পুলিশ কোনওরকম পদক্ষেপ করছে না। তারা শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। ফলে পুলিশের উপর আমাদের কোনও আস্থা নেই।'
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাগদা এলাকায় ভোট লুট করতে আসা বহিরাগতদের প্রতিহত করেছিলেন বাগদার মানুষ। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে দেবদাস মন্ডল বলেন, 'তৃণমূল সন্ত্রাস করতে এলে তা প্রতিরোধ হবে। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে না পারলে তারাই প্রতিহত করবেন। আমরা চাই, মানুষ তার নিজের পছন্দমতো নিজের ভোট নিজে দিক।'
এব্যাপারে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, 'হেরে যাওয়ার ভয়ে বিজেপির নেতারা ভুলভাল কথা বলছেন। সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে বামেদের ভোট বিজেপিতে পড়েছিল। তাই বিজেপি কিছু ভোট বেশি পেয়ে। এবারে বাম এবং কংগ্রেস আলাদাভাবে প্রার্থী দিয়েছে। ফলে এই উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী জয়লাভ করবে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন