সমকালীন প্রতিবেদন : ফুটবলপ্রেমীদের চমকে দিয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে উঠেছিল কানাডা। তাদের স্বপ্নের দৌড় থেমে গেল বিশ্বজয়ীদের সামনে। দলগত শক্তির নিরিখে এগিয়ে থেকেই মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। চোট সারিয়ে মেসি ফেরায় সেই শক্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল ম্যাচের আগেই।
মাঠেও দু’দলের শক্তির পার্থক্য বোঝা গেল বার বার। কানাডার ফুটবলারেরা নিজেদের সেরাটা দিলেন। ৮০ হাজার ১০২ জন দর্শকের সামনে আর্জেন্টিনার সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করলেন। তবু বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের রুখতে পারলেন না।
প্রথম মিনিট ৮-১০ প্রতিপক্ষকে মেপে নেওয়ার পর ধীরে ধীরে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের বাকি সময়টা নিজেদের মতো করে মেসিরা নিয়ন্ত্রণ করলেন খেলার গতি। পেশাদার ফুটবলের নিয়ম মেনে ফাইনালের জন্য শক্তি বাঁচিয়ে রাখলেন তাঁরা।
দলগত শক্তি, রণকৌশল বা ব্যক্তিগত ফুটবল দক্ষতা– কোনও ক্ষেত্রেই আর্জেন্টিনাকে তেমন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেননি কানাডার ফুটবলারেরা। তবে মেসিদের বিরুদ্ধে রক্ষণাত্মক ফুটবলের আশ্রয় নেয়নি উত্তর আমেরিকার দেশটি।
আগ্রাসী, ইতিবাচক ফুটবল খেলার চেষ্টা করেছে। আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করেছে। ৫১ মিনিটে ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পরও নিজেদের বক্সে পায়ের জঙ্গল তৈরির চেষ্টা করেনি কানাডা। এই গোলে মেসি স্পর্শ করলেন নতুন মাইলফলক।
ইরানের আল দায়িকে টপকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলদাতা হলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। সেমিফাইনালে সহজ জয় পেলেও কানাডা কিন্তু আর্জেন্টিনার রক্ষণের দুর্বলতা দেখিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে মাঠের ডান প্রান্ত থেকে প্রতিপক্ষ আক্রমণে উঠলে কিছুটা সমস্যায় পড়ছেন বিশ্বজয়ীরা।
ফাইনালের আগে এ দিকে নজর দিতে হবে মেসিদের। গোল করার একাধিক সুযোগ পেয়েছিল কানাডাও। কিন্তু অভিজ্ঞতা এবং ফিনিশিংয়ের অভাবে সফল হয়নি তারা। তাই আগামীর লড়াইটা আরো কঠিন হতে চলেছে, যা তাদের লড়তেই হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন