Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ২০ জুলাই, ২০২৪

ফের পাল্টি খেয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতেই ফিরে গেলেন পঞ্চায়েত সদস্য হরষিত বিশ্বাস

 

Again-TMC-to-BJP

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌৭২ ঘন্টার মধ্যে ফের পাল্টি খেলেন গাইঘাটা ব্লকের ফুলসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হরষিত বিশ্বাস। বিজেপির টিকিটে জয়ী এই পঞ্চায়েত সদস্য বুধবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। আর এই ঘটনার ৭২ ঘন্টার মধ্যে ফের পাল্টি খেয়ে শনিবার বিজেপিতেই ফিরে গেলেন।

‌শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে গাইঘাটার ফুলসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২৮ নম্বর বুথ থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন হরষিত বিশ্বাস। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪টি আসনের মধ্যে ১২ টিতে জয়লাভ করে বিজেপি, ১১টিতে তৃণমূল ও ১টিতে জয়লাভ করেন নির্দল প্রার্থী। 

পরবর্তীতে নির্দল সদস্য তৃণমূলে যোগদান করাতে বিজেপি এবং তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১২টি করে। এই অবস্থায় টসের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির এবং উপপ্রধান হন তৃণমূলের সদস্য। এই অবস্থাতেই এই পঞ্চায়েতের কাজ চলছিল।

গত বুধবার হরষিত বিশ্বাস তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিশ্বজিত দাসের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন। এর ফলে বিজেপির ১টি আসন করে ১১টিতে দাঁড়ায়। আর তৃণমূলের ১টি আসন বেড়ে ১৩টি হয়। আর তারপরই এই পঞ্চায়েতে অনাস্থা এনে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করার পরিকল্পনা করে তৃণমূল।

কিন্তু তৃণমূলের সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিলেন সেই হরষিত বিশ্বাসই। শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবং বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নিয়ে ফের বিজেপিতে যোগদান করলেন হরষিত বিশ্বাস। 

স্বাভাবিকভাবেই ফুলসরা গ্রাম পঞ্চায়েতে ফের বিজেপি এবং তৃণমূলের আসন সংখ্যা সমান সমান হয়ে গেল। এই বিষয়ে হরষিত বিশ্বাস জানিয়েছেন, 'দলের প্রতি কিছু ক্ষোভ, অভিমান ছিল। সেই কারণেই তৃণমূলে চলে গিয়েছিলাম। ভুল বুঝতে পেরে ফের নিজের ঘরে ফিরে এসেছি।' ‌একই বক্তব্য শোনা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবং বিধায়ক স্বপন মজুমদারের গলাতেও। 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন