সমকালীন প্রতিবেদন : চোটের জন্য ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি জসপ্রীত বুমরাহ। তাঁকে ছাড়া টিম ইন্ডিয়ার কী অবস্থা হয়েছিল, সেটা কম বেশি সকলের জানা। নকআউট পর্বে গিয়ে বিদায় নিতে হয়। তবে এরপর ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে নিজের ঝলক দেখান বুমরাহ।
গত বছরের বিশ্বকাপে প্রতিটা ম্যাচ জিতে ফাইনালে ভারত প্রবেশ করে ফাইনালে। এবার অর্থাৎ, চলতি টি-২০ বিশ্বকাপেও প্রতিটা ম্যাচ জিতেছে ভারত। আর ভারতের এই দুর্দান্ত দৌঁড়ের পিছনে অন্যতম নাম হচ্ছে জসপ্রীত বুমরাহ।
৪৭ রানে আফগানিস্তানকে হারানোর ম্যাচে তিনি সরকারিভাবে সেরা না হলেও অন্যতম সেরা তিনি। তাঁর জন্যই ভারত আফগানিস্তান ম্যাচ জিতেছে এটা বললে ভুল বলা হবে না বলেই মনে করেন অনেকে।
এককথায়, এবার তিনি যে ম্যাচেই খেলেছেন, সেই ম্যাচের রাশ নিজের হাতে রাখছেন। বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধের ম্যাচে বুমরাহ ৪ ওভার বল করে এক ওভার মেডেন দেন। সেই সঙ্গে মাত্র সাত রান দিয়ে নেন তিনটে উইকেট।
টি-২০ ক্রিকেটে এই বোলিং দেখে চমকে গিয়েছেন অনেকেই। এদিন তিনি দ্বিতীয় ওভার বল করতে আসেন আর ওভারের দ্বিতীয় বলে ফেরান রহমানুল্লা গুরবাজকে। বাইরের বল গুরবাজ চালাতে গিয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ দেন। পন্থ সহজেই বলটা ধরে নেন।
১১ রানে ফেরেন গুরবাজ। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফের বুমরাহর দাপট। ফেরালেন হজরতুল্লা জাজাইকে। মাত্র ২ রান করে ফিরলেন জাজাই। বুমরাহর শেষ শিকার নাজিবুল্লা জারদান। সেই কারণেই হয়তো বুমরাহকে দিয়ে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে টিম ইন্ডিয়া। কারণ, এবার শুরু থেকেই বুমরাহর বলের জবাব সেভাবে কোনো দলই দিতে পারেনি।
চলতি বিশ্বকাপে বুমরাহ আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটো উইকেট নিয়ে মাত্র ৬ রান দেন। পাকিস্তান ম্যাচে তিনি ৩ উইকেট নিয়ে ১৪ রান দেন। আমেরিকার বিরুদ্ধে অবশ্য ছাপ ফেলতে পারেননি। আফগানদের বিরুদ্ধে ম্যাচ যত এগোতে লাগল, পিচ ততো স্লো হচ্ছিল।
এটার পুরো সুবিধা নেন বুমরাহ। স্লো পিচে একের পর এক স্লোয়ার দিতে থাকেন ও তাঁর বল খেলতে বিপক্ষকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। ফলে এলো সাফল্য। ম্যাচের সেরা না হলেও তিনি ম্যাচ জেতানোর পিছনে অন্যতম নাম হয়ে রইলেন। এককথায়, টিম ইন্ডিয়ার সুপারহিরো হয়ে উঠছেন বুমরাহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন