Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০২৪

চাঁদ থেকে মাটি আনতে চন্দ্রযান-৪ কে চাঁদে পাঠাচ্ছে ইসরো

 

Soil-from-the-moon

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌বছর ঘুরতে না ঘুরতেই চন্দ্রযান-৪ মিশন নিয়ে বড় আপডেট দিয়ে দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। দক্ষিণ মেরুর কাছে চন্দ্রযান ৩-এর সফল অবতরণের পরে, এবার চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ এবং ফিরিয়ে আনার জন্য যাবে চন্দ্রযান-৪। 

ইতিমধ্যে এই মিশনের জন্য প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্বে। এই বছরের শেষের দিকেই একটি স্পেস ডকিং পরীক্ষা হতে পারে। জানা গেছে, চন্দ্রযান-৪ দু’টি ধাপে উৎক্ষেপণ করা হবে। এই উৎক্ষেপণে দু'টি মিনি স্যাটেলাইট পৌঁছবে মহাকাশে, যাদের দু'টি ভিন্ন কক্ষপথে ইনজেক্ট করা হবে। 

প্রথম ক্ষেত্রে কাজে লাগবে এলভিএম-৩ এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে পিএসএলভি। চন্দ্রযান-৪-এ পাঁচটি আলাদা আলাদা মহাকাশযান থাকবে বলে জানা গিয়েছে। সেগুলির প্রত্যেকটির আলাদা কাজ থাকবে। আলাদাভাবেই সেগুলি উৎক্ষেপণ করা হবে। 

ইসরো জানিয়েছে যে, চন্দ্রযান-৪ নির্দিষ্ট কিছু কাজ নিয়ে যাবে মহাকাশে। যেমন, চাঁদের মাটিতে নিরাপদ, সুরক্ষিত, ‘সফ্‌ট ল্যান্ডিং’ করে  চাঁদের মাটির নমুনা সংগ্রহ করা এবং তা সংরক্ষণ করা, এর পরে একটি মডিউল থেকে অন্য মডিউলে চাঁদের মাটির নমুনা পাঠানো, চাঁদ থেকে নমুনা সঙ্গে নিয়ে আবার পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করা ইত্যাদি।

কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, আপেল ডকিং কি? সহজ কথায়, দু'টি পৃথক মহাকাশযানের একে অপরকে খুঁজে পাওয়া এবং একই কক্ষপথে স্টেশন হওয়াকে বলা হয় স্পেস ডকিং। ১৯৬৬ সালে প্রথম, আমেরিকার জেমিনি প্রজেক্টে এই স্পেস ডকিং হয়েছিল। 

মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং এবং ডেভিড স্কট ছিলেন জেমিনি ৮ মহাকাশযানে। মানববিহীন এজেনা টার্গেট যানের সঙ্গে ডক করেছিল জেমিনি। ইসরো জানিয়েছে, ভবিষ্যতের মহাকাশ মিশনের জন্য এই ডকিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। 

অন্তত যতদিন না ইসরো চাঁদে সফল অবতরণ করানোর জন্য মহাকাশচারীদের পাঠাতে পারছে, ততদিন পর্যন্ত এভাবেই একাধিক চন্দ্রযান সিরিজের মিশন চালিয়ে যেতে হতে পারে। জানা গেছে, এই বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যেই স্প্যাডেক্স চালু হতে পারে। তাই চাঁদের মাটি নিয়ে ফিরে আসার দিন যে আর দূরে নেই, তা ফলাও করে বলাই যায়। 





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন