সমকালীন প্রতিবেদন : দেড় বছর আগে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে রীতিমতো শয্যাশায়ী হয়ে গিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। আর কি কখনো সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পারবেন পন্থ? এই প্রশ্নই ছিল সবার মুখে মুখে। কিন্তু লড়াইটা করে গেছেন তিনি। কঠিন পরিশ্রম করে নিজেকে তৈরি করেছেন বাইশ গজের জন্য।
তাঁর প্রথম কামব্যাক হয় আইপিএল-এ। কিন্তু সেটাই তো শেষ ছিল না। দেশের নীল জার্সিকে ফিরে পেতে মরিয়া ছিলেন তিনি। তাই দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতে নিজেকে প্রমাণ করেই টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পেয়ে গেছেন পন্থ। আর ওয়ার্ম আপ ম্যাচ থেকেই চেনা ছন্দে দেখা গেছিল উত্তরাখণ্ড থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটারকে।
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ওয়ার্ম আপ ম্যাচে দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিজের কামব্যাক বুঝিয়ে দিলেন পন্থ। এই ম্যাচে মাত্র ৩২ বলে তিনি করেন ৫৩ রান। এই ইনিংসে তিনি চারটি বাউন্ডারি এবং চারটি ওভারবাউন্ডারি মারেন। মাঠের সব দিকেই খেলেন শট।
দেখে বোঝার সুযোগ নেই, তিনিই কয়েক মাস আগে জীবনযুদ্ধে পাঞ্জা লড়ছিলেন। জাতীয় দলের জার্সিতে প্রত্যাবর্তনেই সুপারহিট পন্থ। হাফ সেঞ্চুরি করার পর নিজেকে রিটায়ার্ড হার্ট ঘোষণা করে মাঠ ছাড়েন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আইপিএল খেলে আসা পন্থ।
অবশ্য মাঠ ছাড়ার আগে ভারতীয় দলে কামব্যাক ম্যাচে রিভার্স সুইপে ছয় এবং নো লুক শটে বাউন্ডারি মেরেও গ্যালারির সমর্থকদের হাততালি পেয়েছেন এই ব্যাটার। উল্লেখ্য, আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে প্রত্যাবর্তনের আগে তাঁর ফিটনেস নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল।
আদৌ তিনি উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় নিজের পুরনো ছন্দ পাবেন কিনা, তা নিয়েও ছিল আশঙ্কা। যদিও সেসব আশঙ্কার কালো মেঘ কাটিয়ে পন্থ বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি ফুল ফিট। সেই সঙ্গে টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক আরও একটি বার্তা দিয়েছেন, পুরনো পন্থ কিন্তু তিনি আর নেই।
আগে অনেকক্ষেত্রেই অযথা ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতেন। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে মাথা ঠান্ডা রেখেই রোহিত শর্মার সঙ্গে প্রথমে ইনিংস বিল্ড আপ করলেন। এরপর নিজেও দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করলেন। মিডল অর্ডারে সূর্যকুমার যাদব এবং বিরাট কোহলির পাশাপাশি ঋষভ পন্থের থাকা অবশ্যই দলে ভারসাম্য আনবে, তা বলাই বাহুল্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন