সমকালীন প্রতিবেদন : বাগদায় তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে শনিবার বাগদা এলাকায় প্রস্তুতি সভা করল তৃণমূল। আর সেখানে দলের বিক্ষুব্ধ নেতা, কর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন দলের সদ্য নির্বাচিত সাংসদ তথা রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। এই আসনে জয়ও নিশ্চিত বলে আশ্বস্ত করলেন দলের কর্মীদের।
আগামী ১০ জুলাই বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ইতিমধ্যে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুরকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তারই সমর্থনে আজ বাগদার হেলেঞ্চাতে প্রথম সভা করল তৃণমূল।
এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা ব্যারাকপুর লোকসভার নবনির্বাচিত সাংসদ পার্থ ভৌমিক, রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস সহ অন্যান্যরা।
শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা কেন্দ্রেটি বিশ্বজিৎ দাসের হাত ধরে বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল। পরে অবশ্য তিনি তৃণমূলে ফিরে যান। এবার তিনিই আবার লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হন। যদিও তাতে গোটা লোকসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি বাগদায় ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের।
স্বাভাবিকভাবেই উপনির্বাচন নিয়ে কিছুটা চাপে রয়েছে দল। তার সঙ্গে বাগদায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বহুদিনের। এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের মন চাঙ্গা করতে প্রার্থীর উপস্থিতিতে নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব এদিন স্থানীয় নেতা, কর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতিসভা করল।
সেখানে এলাকার দলীয় নেতা, কর্মীদের উদ্দেশ্যে সোজাসাপটা ভাষায় পার্থ ভৌমিক বলেন, 'দলের যদি কেউ কাঠি করার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের সাবধান করে দিচ্ছি। সেই কাঠি কিভাবে ভেঙে দিতে হয়, তা জানা আছে। কাঠিবাজি করে এই সিট হারাতে দেব না।'
দলের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, 'আগামী দুদিনের মধ্যে দেওয়াল লেখার কাজ সেরে ফেলুন। আজ থেকেই বিশ্বজিৎ বাগদা এলাকায় সর্বক্ষণ উপস্থিত থেকে উপনির্বাচন পরিচালনা করবেন। আমরা যে যখন সময় পাবো, বাগদায় হাজির হয়ে যাবো। এই আসনটি জিতিয়ে মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের লাভ এলাকার মানুষকে দিতে হবে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন