সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁ মহকুমায় ছেলেধরা সন্দেহে গনপিটুনির পৃথক দুটি ঘটনায় মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও এক যুবককে। ধৃতদের সোমবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন জায়গায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির মত ঘটনা ঘটছে। তার রেশ পড়ে বনগাঁ মহকুমাতেও। শনিবার এবং রবিবার বনগাঁ এবং গাইঘাটা থানা এলাকায় দুটি গণপিটুনির মতো ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে বনগাঁ থানার ঠাকুরপল্লী এলাকায় এক ভবঘুরেকে ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করা হয়। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মোট ৬ যুবককে গ্রেপ্তার করে বনগাঁ থানার পুলিশ। এছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অপরাধে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। বনগাঁয় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা সাত।
এর পাশাপাশি রবিবার গাইঘাটা থানার বেড়িগোপালপুর এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম অনিমেষ বিশ্বাস, অলক দেবনাথ এবং উদয় অধিকারী। এরা সকলেই বেড়িগোপালপুর এলাকার বাসিন্দা।
ছেলেধরার গুজব এবং তার জেরে গনপিটুনির ঘটনা বন্ধ করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারংবার গুজবে কান না দেওয়ার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, কোনরকম সন্দেহজনক কাউকে দেখলে আইন হাতে তুলে না নিয়ে পুলিশকে খবর দিতে বলা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এদিকে, ছেলেধরা সন্দেহে সোমবার গোপালনগর থানা এলাকায় এক যুবককে মারধোর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হল। গোপালনগর থানার মামুদপুর চারাতলা এলাকায় এদিন সকাল এই ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়দের বক্তব্য, ওই যুবককে এলাকার সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয়রা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, গতকাল রাতে তাকে চারজন এই এলাকায় গাড়িতে করে এনে ছেড়ে দিয়ে চলে গেছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে ছেলেধরার কোনও সম্পর্কই নেই। কিছু মানুষ অতি উৎসাহে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন