Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪

বনগাঁর পর এবার গাইঘাটাতেও ছেলেধরা সন্দেহে গণপ্রহার

 

Mass-beating-on-suspicion-of-child-abduction

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌বনগাঁর পর এবার গাইঘাটা। ফের ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনি দেওয়া হল এক যুবককে। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে পুলিশ তাকে কোনওরকমে উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

রবিবার সকালে এক অপরিচিত যুবক গাইঘাটা থানার বেড়িগোপালপুর এলাকায় চাল সংগ্রহ করতে গিয়েছিল। কিন্তু তার চলাফেরা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থানীয়রা তাকে নানারকম প্রশ্ন করতে থাকেন। তাদের কথা অনুযায়ী, ওই যুবক তাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর না দিতে পারায় সন্দেহ আরও বেড়ে যায়।

এরপরই গুজব ছড়িয়ে যায় যে, ওই যুবক একজন ছেলেধরা। আর তারপর শুরু হয় গণহারে মারধোর। ততক্ষণে স্থানীয়দের মাধ্যমেই খবর পৌঁছে যায় সুটিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে চলে বেধড়ক মারধোর।

উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। কোনওরকমে ওই যুবককে উদ্ধার করে গাড়িতে তুলে সুটিয়া ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশ জানতে পারে যে, আহত ওই যুবকের নাম আসলাম মন্ডল। বাড়ি বাদুড়িয়া থানায় এলাকায়। সে অনাথ বাচ্চাদের জন্য সাহায্য চাইতে ওই এলাকায় গিয়েছিল।

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে বনগাঁর ঠাকুরপল্লী এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এক ভবঘুরেকে বেধড়ক মারধোর করে স্থানীয় কিছু মানুষ। প্রচন্ড প্রহারে ওই ভবঘুরে গুরুতর জখম হওয়ায় তাকে প্রথমে বনগাঁ এবং পরে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বিশ্বজিৎ দত্ত এবং তাপস ঘোষ নামে এলাকার দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এদিকে, 'ছেলেধরা'‌ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে বনগাঁ মহকুমা এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়লেও এব্যাপারে মানুষকে সচেতন করার কোনওরকম উদ্যোগ নিচ্ছে না প্রশাসন, এমনই অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। প্রশাসনের এই উদাসীনতার কারণেই একের পর এক এমন গণপুটুনির ঘটনা ঘটছে। এব্যাপারে অবিলম্বে পুলিশ এবং প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগকে উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয়রা।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন