Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪

বাগদার বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীর নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ

 ‌

Independent-candidate

সমকালীন প্রতিবেদন : 'ঠাকুরবাড়িকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। ব্যবসায়ীক স্বার্থকে কাজে লাগিয়ে বহিরাগতকে বাগদায় বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছে। আর তাই আমার উদ্দেশ্য, ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতি থেকে মুক্তি দেওয়া। সাধারণ মতুযা ভক্তরাও তাই চান। তাঁরা চান, ঠাকুরবাড়ি রাজনীতিমুক্ত হোক।'‌ সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনই মন্তব্য করলেন বাগদার বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা সত্যজিৎ মজুমদার।

বাগদার উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পরমুহূর্ত থেকেই বাগদায় বিজেপির একাংশের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাধছিল। বিক্ষুব্ধ ওইসব কর্মীদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের স্বার্থে বাগদার উপনির্বাচনে ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করতে হবে।

এব্যাপারে তাঁরা এলাকার বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৫ জনের নাম প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব আকারে দলের জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠান। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব সেই ৫ জনের বদলে অন্য একজনকে প্রার্থী করে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হন এলাকার একাংশের বিজেপি কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেন।

সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিজেপি কর্মী সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসেবে সত্যজিৎ মজুমদারকে নির্বাচন করেন। শুক্রবার তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। তার আগে বিজেপির দলীয় পতাকা হাতে, দলের স্লোগান দিতে দিতে নির্দল প্রার্থীর সঙ্গে মিছিল করে মহকুমা শাসকের দপ্তরের কাছে আসেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা।

এব্যাপারে সত্যজিৎ মজুমদারের দাবি, 'বাগদার প্রকৃত বিজেপি কর্মীরা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। তাঁরা কেউ বহিরাগত প্রার্থীকে মেনে নিচ্ছেন না। আর তাই এইসব কর্মীরা তাঁকেই ভোট দিয়ে জয়ী করবেন। ঠাকুরবাড়ির চাপিয়ে দেওয়া প্রার্থীকে তাঁরা মেনে নিচ্ছেন না।'

এদিন নির্দল প্রার্থী সত্যজিৎ মজুমদারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাগদার বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা শিশির হাওলাদার। এব্যাপারে তাঁর বক্তব্য, 'আমরাই আসল বিজেপি। বাগদার সাধারণ মানুষ, কর্মী আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। প্রার্থী নির্বাচনের আগে দলের পক্ষ থেকে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করা হয় নি। এটা স্থানীয় কর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না। জয়ের পর আমাদের প্রার্থী বিজেপিকেই সমর্থন করবেন।'

বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মন্ডল এব্যাপারে বলেন, 'এলাকার বিজেপি কর্মী, সাধারণ মানুষ দলের নির্ধারিত প্রার্থী এবং সিম্বল দেখে ভোট দেবেন। কারণ তাঁরা দলকে ভালোবাসেন। এলাকার কয়েকজন বিজেপি কর্মীর হয়তো এখন বিজেপি করতে ভালো লাগছে না। তাই তারা এই ধরনের কাজ করছেন। এতে কোনও লাভ হবে না।'‌‌






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন