সমকালীন প্রতিবেদন : দিনের পর দিন আপনি যেসব মাছ নিশ্চিন্তে খেয়ে যাচ্ছেন, সেই তালিকায় হয়তো এমন অনেক মাছ রয়েছে, যা এক্কেবারে খাওয়া উচিত নয়। বিশেষত গর্ভবতী, প্রসূতি নারী এবং যে সমস্ত মহিলারা মা হওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন, তাঁদের এমন মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাই অজান্তে কোনো মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলার আগে জেনে নিন, কোন কোন মাছ খাওয়া ক্ষতিকারক। বড় সাইজের মাগুর মাছ খাওয়ার আগে আপনাকে সাবধান হতে হবে। দেখে হাত নিশপিশ করলেও বাজারে গিয়ে বড় আকারের মাগুর মাছ কেনা থেকে বিরত থাকুন।
ছোট সাইজের মাগুর মাছ কিনুন। কারণ, মাগুর মাছের আকার দ্রুত বাড়ানোর জন্য অনেক সময় মাছচাষিরা মাছের শরীরে বিভিন্ন হরমোন ইনজেকশন দেন। যা ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর হতে পারে। অনেকেই আবার ম্যাকেরেল মাছ খেতে পছন্দ করেন।
কিন্তু জানেন কি এই ম্যাকেরেল মাছটিতে পারদ থাকে? আপনি যদি ম্যাকেরেল মাছ খান, তবে সেই পারদ আপনার পেটে জমতে থাকবে। এটি বিভিন্ন বিপজ্জনক রোগের কারণ হতে পারে। তাই এখন থেকে ম্যাকেরেল খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন যে, ক্ষতিকর মাছের তালিকায় রয়েছে টুনা ফিসের নামও। টুনা মূলত একটি বিদেশী মাছ। এই টুনাতে পারদ বেশি থাকে। এছাড়াও, এই মাছগুলিকে হরমোন এবং অ্যান্টিবায়োটিকের উচ্চমাত্রার ইনজেকশন দেওয়া হয়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ।
এছাড়াও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ সার্ডিনস মাছ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল হলেও এটি সর্বোচ্চ পারদ উপাদানবিশিষ্ট মাছ। এর উচ্চ পারদ সহজেই স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই এই মাছ অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয় বলে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাশাপাশি, বাসা মাছ আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে। এই মাছকে ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা সবচেয়ে বিপজ্জনক মাছ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি এমন একটি মাছ, যাতে ক্ষতিকারক ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে।
যাদের কোলেস্টেরলের ঝুঁকি রয়েছে, তাদের এই মাছ খাওয়া উচিত নয়। এটি হৃদরোগ এবং অন্যান্য সম্পর্কিত রোগের কারণও হয়। এছাড়াও, আপনার যদি হাঁপানি বা আর্থ্রাইটিস থাকে, তাহলে এই মাছ স্পর্শ করবেন না। এটি ব্রয়লার মাছ নামেও পরিচিত।
ক্যাটফিশও আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তাই এমন চাষ হওয়া মাছ কেনা ছেড়ে, কোনও রাসায়নিক ছাড়াই জৈবভাবে বেড়ে ওঠা মাছের সন্ধান করুন। অন্যথায় খাওয়া এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন