সমকালীন প্রতিবেদন : গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে বারবার মানুষকে সচেতন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর প্রভাবে যে একদিন বড় বিপদের মুখে পড়বে মানবজাতি, তার ধারণা আগেই মিলেছিল। আর এবার বাস্তবে ঘটতে চলেছে তেমনই ঘটনা।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে যে, পৃথিবীর বৃহত্তম হিমশৈলটি এবার স্থান পরিবর্তন করছে মরুদেশ থেকে। জানা গেছে, এ-২৩-এ নামের বিশাল এই বরফের আয়তন প্রায় চার হাজার বর্গ কিলোমিটার। গত বছর থেকে এটি এতো গতিতে সরছে যে, বরফখণ্ডটি আন্টার্কটিকা সাগরের বাইরে চলে যাচ্ছে।
এতো বছর পর বরফখণ্ডটি সরে যাওয়া নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে বিজ্ঞানীদের কপালে। তাঁদের মতে, এই বরফখণ্ডটি ১৯৮৬ সালে আন্টার্কটিকার উপকূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। পরে এটি ওয়েডেল সাগরে গিয়ে থেমে যায়। তখন থেকেই এটি একটি বরফ-দ্বীপে পরিণত হয়েছিল।
এরপর থেকে দিন যত যাচ্ছে ততই ছোট হচ্ছে এর আকার। ২০২০ সালে প্রথম সরে যাওয়া শুরু করে বরফখণ্ডটি। কিন্তু এতদিন সরে না গেলেও প্রায় তিন যুগ পর কেন হিমশৈলটি সরে যাচ্ছে, সেটিই এখন চিন্তার কারণ বিজ্ঞানীদের।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশাল আকৃতির এই বরফের খণ্ড সরে যাওয়ার কারণে লাখ লাখ সামুদ্রিক প্রাণী ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাদের মধ্য রয়েছে শীল, পেঙ্গুইন ও বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ, পাখি।
বিশেষ করে যারা এই দ্বীপে বংশ বিস্তার করে, তারা বেশি ক্ষতির শিকার হবে।শুধু তাই নয়, প্রাণীদের স্বাভাবিক চলাচলের রাস্তায় বাধা তৈরি করতে পারে এই বিশাল আকৃতির হিমশৈল।
অন্যদিকে, এর উপকারী দিকও আছে। কারণ, বিশাল হিমশৈলগুলো গলে গেলে সেখান থেকে খনিজ ধূলিকণা বেরিয়ে আসে। ওই ধূলিকণা সমুদ্রের খাদ্য শৃঙ্খলের ভিত্তি তৈরি করা জীবগুলোর জন্য পুষ্টির উৎস। তবে এর কোন প্রভাব দৃশ্যমান হবে, তা সময়ই বলবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন