সমকালীন প্রতিবেদন : জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ফের জেলার পড়ুয়াদের জয়জয়কার। কারণ, প্রথম হয়েছেন বাঁকুড়া জেলা স্কুলের কিংশুক পাত্র। বাঁকুড়া শহরের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকার বাসিন্দা কিংশুক। ছোট থেকেই বাঁকুড়া জেলা স্কুলে পড়াশোনা করেছে সে।
তাঁর পছন্দের বিষয় অঙ্ক। অত্যন্ত মেধাবী ওই ছাত্র এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৭৭ নম্বর পেয়েছিল। তবে মেধা তালিকায় স্থান পাননি। সেই খেদ মিটল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায়। সকলকে টপকে রাজ্যে প্রথম হয়েছে কিংশুক।
ছেলের সাফল্যে গর্বিত তাঁর পরিবার। ডাক্তারি নাকি ইঞ্জিনিয়ারিং- কোন পথে এগোবে কিংশুক, তা অবশ্য এখনও সেভাবে ঠিক করে উঠতে পারেনি। গত বছরের নভেম্বর মাসে ২০২৪ সালের রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষার দিনক্ষণ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
এরপর চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল অর্থাৎ লোকসভা ভোটের মাঝেই পরীক্ষা হয়েছিল। সারা দেশের মধ্যে মোট ৩২৮টি শহরে রাজ্য জয়েন্টের পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল। এই বছর মোট ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৯৪ জন পরীক্ষার্থী জয়েন্টে বসেছিলেন।
পরীক্ষার ৩৮ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয় রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফল। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটে নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন বোর্ডের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে রেজাল্ট জানানো হয়।
এবারের রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষায় দিল্লি বোর্ডের মতো পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক সংসদ জোর টক্কর দিয়েছে। প্রথম দশের মধ্যে চার জন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের, চারজন সিবিএসই বোর্ডের এবং দুইজন সিআইএসসিই বোর্ড থেকে স্থান পেয়েছে।
তারই মধ্যে প্রথম হয়েছে কিংশুক। রেজাল্ট জানার পর কিংশুকের প্রতিক্রিয়া, 'এক থেকে দশের মধ্যে থাকব আশা করেছিলাম। তবে প্রথম হব আশা করেনি। খুবই আনন্দ হচ্ছে। সারাদিন পড়াশোনা নিয়েই থাকতাম। পড়াশোনা ছাড়া বিশেষ কিছু করতাম না।'
এবারের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সেভাবে ফলাফল হয়নি বাঁকুড়া জেলার। তবে জয়েন্টের এই ফলাফল ফের বাঁকুড়ার মুকুটে এনে দিলো এক শিরোপা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন