সমকালীন প্রতিবেদন : স্বাধীনতার পর থেকে ধীরে ধীরে মহাকাশ গবেষণায় দুর্বার গতিতে ছুটছে ভারত। চাঁদ, সূর্য, সবই আজ ইসরোর হাতের নাগালে। এখন টার্গেট মহাকাশ। তবে এই মহাকাশ অভিযানের স্বপ্নটা দেখিয়েছিলেন রাকেশ শর্মা।
ভারতের প্রথম মহাকাশচারী হিসাবে মহাশূন্যের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যৌথভাবে মহাকাশ অভিযানে অংশ নিয়েছিল ভারত। প্রথম ভারতীয় হিসাবে সেই অভিযানে মহাকাশে পাড়ি দেন রাকেশ।
ছোটদের বইয়ের পাতায় তাঁর নাম জ্বলজ্বল করে এখনও। তবে তারপর দ্বিতীয় কোনো ভারতীয় মহাকাশে যায়নি সেভাবে। যদিও কল্পনা চাওলার মৃত্যুও আমরা ভুলিনি কোনোদিন। তবে ফের একবার এক ভারতীয় ব্যক্তির নাম মহাকাশচারীর তালিকায় জুড়ে যেতে চলেছে।
আর তিনি হলেন গোপীচন্দ থোতাকুরা। শীঘ্রই এক পর্যটক হিসাবে মহাকাশে যাচ্ছেন এই ভারতীয় বিমানচালক, যিনি পাইলট গোপীচন্দ নামেও পরিচিত। এর আগে মহাকাশে ভারতের পদার্পণ ঘটলেও গোপীচন্দ কিন্তু প্রথম ভারতীয়, যিনি মহাকাশে যাচ্ছেন কেবলমাত্র ‘ছুটি কাটাতে’।
আজ্ঞে হ্যাঁ, মহাকাশে গিয়ে তিনি কোনো গবেষণা করবেন না। শুধু মহাকাশের হাল হকিকত দেখবেন আর মজা নেবেন অভিকর্ষহীন এক রহস্যময় স্থানের, যাকে বলা হয় মহাশূন্য বা স্পেস। আমেরিকার বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা ‘ব্লু অরিজিন’-এর ‘নিউ শেফার্ড-২৫’ অভিযানের অংশ হিসাবে মহাকাশে পর্যটক হিসাবে যাচ্ছেন গোপীচন্দ।
গোপীচন্দ বাদেও তাঁর সহযাত্রী হিসাবে মহাকাশে যাচ্ছেন আরও পাঁচ জন। শীঘ্রই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং মহাকাশের সীমানা ‘কারমান লাইন’ পেরিয়ে মহাকাশে পৌঁছে যাবেন গোপীচন্দ-সহ ওই ছয় যাত্রী।
জানা গেছে, এই অভিযানে যে মহাকাশযান ব্যবহার করা হবে তার বুস্টার, ক্যাপসুল, ইঞ্জিন, ল্যান্ডিং গিয়ার এবং প্যারাসুট-সহ অনেক যন্ত্রই পুনর্ব্যবহারযোগ্য।
তাই এটা বলাই যায় যে, মহাশূন্যে কিছু সময় কাটিয়ে আবার ফিরে আসবেন পৃথিবীতে। তবে এই মহাকাশ অভিযানের উৎক্ষেপণের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন