সমকালীন প্রতিবেদন : আলিগড়ের ২৬ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটার রিঙ্কু সিং ইতিমধ্যেই ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। শুধু তাই নয়, গত বছরের আইপিএল-এ ১ ওভারে ৫ টি ছক্কা মেরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছিলেন তিনি।
কেকেআরের নায়ক সাদা বলের ক্রিকেটে পাঁচ এবং ছয় নম্বর জায়গায় আগামীর তারকা হিসেবে প্রমাণ করেছেন নিজেকে। তাঁকেই ভাবা হচ্ছে প্রকৃত 'ফিনিশার' হিসেবে। ২০২৩ সালের আইপিএল-এর ১৪ ম্যাচে ৪৭৪ রান করেছিলেন রিঙ্কু।
সর্বোচ্চ লখনউ সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে ৩৩ বলে অপরাজিত ৬৭ রান। গড় ৫৯.২৫। স্ট্রাইক রেট ১৪৯.৫৩। সঙ্গে ছিল চারটি অর্ধ শতরান। এরপর থেকে আর রিঙ্কুকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শুধুই এগিয়ে গিয়েছেন তিনি।
ঘটনাচক্রে অনেকেই নিশ্চিত ছিলেন যে, আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের দলে রিঙ্কুর টিকিট নিশ্চিত। তাঁকে নিয়েই হবে দল। মঙ্গলবার দুপুরে যখন জাতীয় দলের নির্বাচকরা বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করলেন, তা দেখে অনেকেই চমকে গিয়েছেন।
দল ঘোষণার সময়ে নির্বাচকরা রীতিমতো দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। বিসিসিআই-এর সূত্র বলছে যে, হার্দিক পাণ্ডিয়া আইসিসি ইভেন্টে 'অটোমেটিক চয়েস'। প্রিমিয়ার সিম-বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবেই দেখা হচ্ছে তাঁকে।
দলে আর একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডারের জায়গা ছিল। শিবম যে ফর্মে রয়েছেন, তাঁকে বসিয়ে রিঙ্কুকে নেওয়ার কথা ভাবতেও পারেননি নির্বাচকরা। শিবমের জন্যই জায়গা ছাড়তে হল রিঙ্কুকে।
তবে রিঙ্কুর সুযোগ না পাওয়ার আরেকটি কারণ রয়েছে। একটি সূত্র বলছে, 'রিঙ্কুকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের দাম দিতে হল। খুব সহজে বললে ও আনলাকি।' রিঙ্কুর পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত।
কিন্তু ওই ব্যাটিং অর্ডারের উপর দিকে না খেলার সুযোগই তাঁর জন্য কাল হয়ে গেল। কারণ, রিঙ্কু কিন্তু কেকেআরের হয়ে নীচের দিকে খেলেন। গতবছর আইপিএলেই 'ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার' নিয়ম লাগু হয়।
প্রথম একাদশের যে কোনও প্লেয়ারকে, যখন খুশি তুলে নিয়ে ডাগআউটের কাউকে খেলানো যায়। কেউ বলছেন, এই নিয়মের জন্যই বিশ্বকাপে সুযোগ পেলেন না রিঙ্কু সিং।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন