সমকালীন প্রতিবেদন : গত মাসের ২৯ এপ্রিল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। যার কারণে প্রায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিজেদের চাকরি হারিয়েছেন। এই মামলার রায় ঘোষনার পর ন্যায়বিচারের জন্য চাকরিহারা এবং সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছে।
আর আজ সুবিচারের দাবিতে দিনভর পথে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন চাকরিহারারা। চড়া রোদ এবং গরমকে উপেক্ষা করেই করুণাময়ীর রাস্তায় চললো চাকরিহারাদের বিক্ষোভ। আচার্য ভবনের সামনে চলেছে তাঁদের বিক্ষোভ। যার কারণে প্রায় দিনভর অবরুদ্ধ ছিল সেক্টর ফাইফের রাস্তাঘাট।
চাকরিহারাদের দাবি, যত শীঘ্র সম্ভব যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা আলাদা করে দিতে হবে এসএসসি দফতরকে। যার কারণে আজ আচার্য ভবনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু গেটে পৌঁছানোর আগেই পুলিশের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হন তাঁরা। বাধা পেয়ে থেমে না গিয়ে রাস্তায় বসেই বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিহারারা।
এক বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন, যাদের জন্য তাঁরা আজ পরিস্থিতির শিকার তাঁদেরই এই সমস্যার সমাধান করে দিতে হবে। জবাবদিহি করতে হবে এসএসসিকেই। করতে হবে যোগ্য ও অযোগ্যদের লিস্ট প্রকাশ।
এসএসসির চেয়ারম্যানের কাছে এই বিষয়ে জানার পরই তাঁরা এলাকা ছেড়ে যাবেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিক্ষোভ অংশগ্রহণকারী চাকরিহারা এক শিক্ষক বলেন, অযোগ্য কিছু শিক্ষকদের জন্য আজ তাঁদের মতো যোগ্য শিক্ষকদের এই পরিণতি।
আন্দোলনকারীরা এদিন দাবি তোলেন, এসএসসির তরফে সমস্ত ওএমআর শিট প্রকাশ করা হোক। সুপ্রিম কোর্টে ২৯ এপ্রিল এসএসসি মামলার শুনানি হলেও যোগ্য ও অযোগ্যের তালিকা কীভাবে আলাদা করা হবে, সেই বিষয়ে ফের শুনানি হবে ৬ মে।
এদিকে, ইতিমধ্যেই চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। আর এবার চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার বর্ধমানের জনসভায় চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এদিন তাঁর ভাষণে বলেছেন, 'যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য আইনি সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে বিজেপি সরকার। যাঁরা সৎ, সঠিক ডিগ্রি আছে, তাঁদের পাশে থাকবে বিজেপি। এটা মোদীর গ্যারেন্টি।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন