সমকালীন প্রতিবেদন : দহন জ্বালা থেকে অবশেষে মুক্তি মিললো বঙ্গবাসীর। আবহাওয়ার পূর্বাভাসকে সত্যি করে সোমবার সন্ধ্যাতেই নামলো স্বস্তির বৃষ্টি। তীব্র গরমের অস্বস্তি থেকে মুক্তি মিললো অনেকটাই।
প্রায় ৫০ বছরের রেকর্ডকে ভেঙে দিয়ে এবার গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই গরমের টানা ইনিংস চলেছে। পুরনো রেকর্ড ভেঙে কোন কোন জেলায় তাপমাত্রার পারদ ছাড়িয়েছে ৪৫ ডিগ্রিও।
গত কয়েকদিন ধরে লু এর কারনে দুপুরের দিকে রাস্তাঘাট অনেকটাই সুখ শান্তি থেকেছে গরমে নাজেহাল পথ চলতি মানুষ একটু ছায়ার খোঁজে কেউ গাছের নিচে, কেউ ছায়া জায়গায়, কেউবা মেট্রো স্টেশনের ভেতরেও আশ্রয় নিয়েছেন। এক ধাক্কায় বিক্রি বেড়ে যায় হাই স্পিড পাখা, এসি, ফ্রিজের।
কবে এই তীব্র দহন জ্বালা কমবে? সেই প্রশ্নই ঘুরে ফিরে উঠতে থাকে। আর চাতক পাখির মতো বৃষ্টির অপেক্ষায় চেয়ে থাকেন রাজ্যবাসী। মাত্র দিন কয়েক আগেই স্বস্তির খবর শোনায় আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
হাওয়া অফিস জানায়, অনুকূল হতে শুরু করেছে ঝড়বৃষ্টির পরিস্থিতি। বঙ্গোপসাগর থেকে হুড়মুড়িয়ে ঢুকতে শুরু করেছে জলীয় বাষ্প। আর তাতেই মিলবে স্বস্তি। রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড় বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে। আর সোমবার থেকেই রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের একাধিক ঝড় বৃষ্টি শুরু হবে।
আবহাওয়া দপ্তরের সেই পূর্বাভাসকে সত্যি করে আজ, সোমবার বিকেলের পর থেকেই বইতে শুরু করে হালকা শীতল বাতাস। আর সন্ধ্যে থেকেই শুরু হয় তুমুল ঝড়-বৃষ্টি, সঙ্গে বজ্রপাত। মুহূর্তের মধ্যেই প্রকৃতিদেবীর রূপ এবং অনুভূতির বদল ঘটে। গরমের জ্বালা উধাও হয়ে অনেকটাই স্বস্তি মিলতে থাকে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গ থেকে লাল এবং কমলা সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও হলুদ সর্তকতা জারি রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, গোটা সপ্তাহ জুড়েই এই ঝড়বৃষ্টি চলবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন