সমকালীন প্রতিবেদন : লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে বিশেষ করে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য সিএএ একটি অন্যতম ইস্যু বিজেপির। নাগরিকত্ব দেওয়ার নামে ভোট ব্যাঙ্ক মজবুত করতে চাইছে বিজেপি।
অন্যদিকে তৃণমূলের বক্তব্য, সিএএ একটা ভাওতাবাজি। এরজন্য আবেদন করলেই বিপদে পড়তে হবে। দুপক্ষের এই বিপরিতমুখি কথপোকথনে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও বিভ্রান্ত।
ফলে ভোটের বাজারে সিএএ ইস্যু থেকে কোন দল, কতটা সুবিধা তুলতে পারে, তা ভোটের ফলাফলে জানা যাবে। এরইমধ্যে অসমে এনআরসি চালু করার পর কি অভিজ্ঞতা হয়েছে সেখানকার মানুষের, তারই কিছু বাস্তব কাহিনী শোনালেন অসমের যুবক রিপন দাস।
বুধবার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর, তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস এবং আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি নারায়ণ ঘোষের উপস্থিতিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রিপন।
তাঁর কথায়, কেন্দ্র সরকার অসমে একপ্রকার জোর করে এনআরসি লাগু করে। আর তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ হিন্দু বাঙালীকে। তাঁর মতে এটা একটা বিপজ্জনক নিয়ম। আর এই নিয়মের জাতাকলে পড়ে তাঁর এক আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে সিএএ লাগু করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। রিপনের মতে, 'এটা রাজনৈতিক মিথ্যাচার। এই নিয়মের ফাঁদে পা দিলে বিপদে পড়তে হবে আবেদনকারীকে।' ফলে তৃণমূলের সুরে সুর মিলিয়ে তিনিও সিএএ তে সাড়া না দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন