সমকালীন প্রতিবেদন : একেই হয়তো বলে, স্বপ্নকে খুব কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখা। কিন্তু তারপরেও স্বপ্নপূরণ না হওয়া। ত্রিমুকুটের স্বপ্নভঙ্গ হল মোহনবাগানের। আইএসএল ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসির কাছে ১-৩ গোলে হারল মোহনবাগান। আইএসএলে লিগ-শিল্ড জেতা মোহনবাগানের চ্যাম্পিয়ন হওয়া হল না এবার।
যুবভারতীর ফাইনালে প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। জেসন কামিংসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল কলকাতার দল। দ্বিতীয়ার্ধে মুম্বইকে অক্সিজেন জোগান জর্জে পেরেরা দিয়াস। মুম্বইয়ের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন বিপিন সিংহ। তৃতীয় গোল ইয়াকুব ভোজটাসের।
প্রথমার্ধে খেই হারিয়ে ফেলা মোহনবাগান দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা খেলার হাল ধরে। তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছিল। মুম্বইয়ের ফুটবলাররা খেলা গুছিয়ে ফেলেছিল। আর তাতে লাগাতার চাপ বাড়তে থাকে মোহনবাগানের উপর। শেষ পর্যন্ত মুম্বই ম্যাচ বের করে নেয়।
কিন্তু কেন ঘরের মাঠে হারলো মোহনবাগান? তার অন্যতম কারণ হল, মাঝমাঠে দুর্বলতা। ম্যাচ জিততে গেলে মাঝমাঠকে খেলা ধরতে হয়। তবেই প্রতিপক্ষের বক্সে আক্রমণ করা যায়। গোটা ম্যাচ জুড়ে বাগান ফুটবলারদের টেক্কা দিয়েছেন মুম্বইয়ের ফুটবলারেরা।
দ্বিতীয় বল বেশির ভাগ পেয়েছেন তাঁরা। ফলে বাগান বেশি আক্রমণ তুলতে পারেনি। তাই গোলের সুযোগ বেশি পায়নি তারা। এছাড়াও, রক্ষণের ভুল সবুজ মেরুনের হারের অন্যতম কারণ। রক্ষণে শুভাশিস বসুর গতি ভোগাচ্ছিল বাগানকে।
বার বার ডিফেন্সে নামতে হচ্ছিল লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংহদের। মুম্বইয়ের প্রথম দু’টি গোল বাগান রক্ষণের ভুলে। পাশাপাশি, সমান দোষী গোলরক্ষক বিশাল কাইথও। দু’টি গোলের সময়ই ঠিক জায়গায় ছিলেন না তিনি।
এছাড়াও, আক্রমণে দুর্বলতাও ভুগিয়েছে বাগানকে।আর্মান্দো সাদিকু না থাকায় আক্রমণে একা ছিলেন জেসন কামিংস। একটি গোল করা ছাড়া বিশেষ কিছু করেননি তিনি। ডিফেন্ডারদের বিরক্ত করা স্ট্রাইকারের বড় কাজ।
সেখানে পাশ নম্বরও পাবেন না কামিংস। যে কয়েকটি সুযোগ এসেছিল, সেখান থেকে গোলের মুখও খুলতে পারেননি কামিংস। সব মিলিয়ে আইএসএল হাতছাড়া হল কলকাতার ক্লাবের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন