সমকালীন প্রতিবেদন : জমিতে কৃষিকাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল দুই কৃষকের। ঘটনাচক্রে তাঁরা দুজনেই একই গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সকালের এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে বনগাঁ থানার পাটশিমুলিয়া এলাকায়।
গত কয়েক ঘন্টা আগে শক্তিশালি ঘূর্ণিঝড় রেমাল আছড়ে পড়ার বিষয়ে আগাম সতর্কতা জারি করা হচ্ছিল সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে। আর বড় আকারের ঝড় মানেই দূর্বল বাড়ি, কাচা বাড়ির ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি গাছ ভেঙে পড়া, বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়া।
আর এসব ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে বারেবারে সতর্ক করা হয় যে, ঝড়ের সময় বা ঝড়ের পরে কোথায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে থাকলে তাতে হাত না দেওয়ার জন্য। কিন্তু সেই সতর্কতা না মানায় সম্ভবত এতো বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে পাট শিমুলিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা অনিল পাল (৬৩) নিজের জমিতে চাষের কাজ করতে যান। তিনি তাঁর জমিতে পটল চাষ করেছিলেন। তারই দেখভাল করতে গিয়ে এদিন তিনি দেখেন, পটলের মাচার উপর বিদ্যুতের একটি তার ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে।
তবে সেই তারে যে বিদ্যুৎ রয়েছে, সম্ভবত তা তিনি বুঝতে পারেন নি। ফলে তিনি তারটি হাত দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। আর যখনই তিনি সেই তারে স্পর্শ করেছেন, সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
এরপরই বিদ্যুতের ঝটকায় শঙ্গা হারিয়ে জমির মধ্যে পড়ে যান। ঘটনাচক্রে এই ঘটনার পরপরই ওই জমির পাশ দিয়ে নিজের জমিতে চাষের কাজ করতে যাচ্ছিলেন ওই এলাকার আরও এক কৃষক অমল পাল (৫৯)।
তিনি দেখেন, অনিল পাল জমিতে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে রয়েছেন। আর তাই দেখে তিনি তখন অনিল পালকে ধরে তুলতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে যান। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা তাঁদেরকে দেখতে পেয়ে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। ততক্ষণে অবশ্য সব শেষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন