সমকালীন প্রতিবেদন : রবিবার চেন্নাইয়ে আইপিএল ফাইনাল ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই রীতিমতো জয় নিশ্চিত করে ফেলে কেকেআর। নারিন ম্যাজিক না হলেও এদিন ভেঙ্কটেশ দেখালেন তার ব্যাটের দাপট।
মাঠে ছুটতে ছুটতে ঢুকে পড়েন রিঙ্কু সিংহ, হর্ষিত রানারা। একে অপরের ঘাড়ে উঠে পড়েন তাঁরা। উচ্ছ্বাসের তোড়ে ভেসে যান সাপোর্ট স্টাফেরাও। মাঠে সপরিবার নেমে পড়েন শাহরুখ খানও।
মাঠের এক দিকে রাখা ছিল আইপিএল ট্রফি। তাতে খোদাই করা হচ্ছিল কেকেআরের নাম। ট্রফি পাওয়ার জন্য তর সইছিল না শ্রেয়সদের। চারপাশে দাঁড়িয়ে কাছ থেকে ট্রফি দেখেন তাঁরা। আর একটু হলে তুলেই ফেলছিলেন।
শ্রেয়সদের উচ্ছ্বাস বুঝিয়ে দিচ্ছিল, এই ট্রফি জেতার গুরুত্ব তাঁদের কাছে কতটা। চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য চেন্নাইয়ের হোটেলে রাখা হয়েছিল একটি বিশাল কেক। ট্রফি নিয়ে হোটেলে ঢোকেন শ্রেয়স আইয়ার।
তিনি প্রথমেই কেকের পাশে গিয়ে ট্রফি রেখে দেন। ক্রিকেটারদের গায়ে ‘চ্যাম্পিয়ন’ লেখা জার্সি। শ্রেয়স, সুনীল নারাইনেরা কেক কাটেন। তার পরে কেক মাখানোর লড়াই শুরু হয়।
আপাত শান্ত নারাইনকেও দেখা যায় কারও পিছনে ছুটছেন কেক মাখাতে। শ্রেয়স ট্রফি নিয়ে নাচছিলেন। চার দিকে ‘কেকেআর, কেকেআর’ চিৎকার শোনা যাচ্ছিল। ট্রফি জেতার পরে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে উল্লাস হয় সাজঘরে।
রিঙ্কু, বেঙ্কটেশদের দেখা যায় দেদার সেলফি তুলতে। মাঠকর্মীদেরও চ্যাম্পিয়ন লেখা টি-শার্ট দেন তাঁরা। সাজঘরে ছিলেন শাহরুখ, জুহি চাওলারা।
গম্ভীরকেও দেখা যায় সপরিবার ট্রফি হাতে ছবি তুলতে। তখন কিন্তু মুখে হাসি ছিল গম্ভীরের। সাজঘরে বাজছিল পঞ্জাবি গান। রাত ২টো নাগাদ সাজঘর থেকে বেরিয়ে বাসে ওঠে দল।
এবার হয়তো ট্রফি হাতে কলকাতায় ফিরবে দল। আসল উচ্ছাস তো এখনো বাকি! কারণ, এই জয় তো কোটি কোটি নাইট ভক্তদেরও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন