সমকালীন প্রতিবেদন : খোদ পুলিশ কর্মীর বাড়িতেই চুরির ঘটনা ঘটল। ঘুমন্ত অবস্থায় স্প্রে করে দুষ্কৃতীরা এই চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানা এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গাইঘাটা থানার উত্তর বকচরা এক নম্বর টালি কারখানা এলাকায় বসবাস পুলিশ কর্মী শান্তনু দাসের। তাঁর পরিবারে তিনি ছাড়া আরও দুজন পুলিশ বিভাগে কর্মরত। কর্মসূত্রে তাঁরা বাড়ির বাইরেই বেশি থাকেন।
অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার রাতেও খাওয়া দাওয়া সেরে পরিবারের সদস্যরা যে যার ঘরে শুয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্য করেন যে, বাইরের গেটের তালা খোলা। একটি মোবাইল ফোন বাইরে পড়ে রয়েছে।
এরপর ভালো করে লক্ষ্য করতেই বোঝা যায় যে চুরির ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের সদস্যরা অন্য ঘরগুলিতে ঘুমিয়ে ছিলেন। যে ঘরে কেউ ছিলেন না, সেই ঘরের দরজার তালা, আলমারির লকার ভেঙে মূলত সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
আলমারিতে রাখা শান্তনু দাসের স্ত্রীর সমস্ত সোনার গয়না চুরি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। শান্তনু দাস জানান, প্রায় ২০ গ্রাম সোনার গয়না চুরি গেছে। পাশের ঘরে চুরির ঘটনা ঘটলেও বাড়িতে থাকা সদস্যরা কিছুই টের পান নি। তাদের ধারণা, দুষ্কৃতীরা ঘুমের ওষুধ স্প্রে করে এই কান্ড ঘটিয়েছে।
শুধু এই বাড়ি নয়, পুলিশ কর্মীর বাড়ির পাশাপাশি রাখি বিশ্বাস নামে আর এক প্রতিবেশীর বাড়িতেও একই রাতে চুরির ঘটনা ঘটে। ভোররাতের দিকে এই ছুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান। পুলিশকর্মী শান্তনু দাসের অভিযোগ, এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়ে গেছে।
গাইঘাটা থানা তদন্ত করে চুরি যাওয়া সামগ্রী ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা যাতে করে, তার আবেদন জানিয়েছে দুই পরিবার। চুরি যাওয়ার খবর পেয়ে ওই দুই বাড়িতে ঘটনার তদন্তে আসে গাইঘাটা থানার পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন