সমকালীন প্রতিবেদন : 'মমতা ব্যানার্জী নিজে চেয়েছিলেন যে, বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে বিশ্বজিৎ দাস প্রার্থী হোক। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, বিশ্বজিৎ এলাকার মানুষকে পরিষেবা দেবেন। আর তাই আপনারদের দায়িত্বে বিশ্বজিৎকে জিতিয়ে এই আসনটি মমতা ব্যানার্জীকে উপহার দেওয়া।' সোমবার বনগাঁর টাউন হল ময়দানের কর্মী সম্মেলনে এমনই বললেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সি।
লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। বনগাঁ সহ আরও কয়েকটি কেন্দ্রে ২০ মে পঞ্চম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তাই হাতে একমাসও সময় নেই। এই পরিস্থিতিতে দলের তৃণমূলস্তরের কর্মীদের উজ্জিবিত করতে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে।
সোমবার বাগদা, বনগাঁ এবং গোবরডাঙায় এমনই তিনটি কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত বক্সি। বনগাঁর সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস, জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বনগাঁ সাগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শ্যামল রায়, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি নারায়ণ ঘোষ, পুরপ্রধান গোপাল শেঠ, রতন ঘোষ সহ অন্যান্যরা।
সুব্রত বক্সি তাঁর বক্তব্যে বলেন, 'বেশ কয়েক বছর আগে এই রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্ব সিপিএমের কাছে তাদের পতাকা বন্ধক রেখেছিল। আর এখন সেই পতাকা বেঁচে দিয়েছে। মমতা ব্যানার্জী অনেক লড়াই, সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস দলটিকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছেন।'
জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, 'এলাকায় ঘুড়ে আমি বুঝতে পারছি কল্যানী, হরিনঘাটা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয় নিশ্চিত। আর স্বরুপনগর থেকে ৬০ হাজারে লিড হবে। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্র থেকে ২০ হাজারে লিড দিতে হবে। এরজন্য সকাল, সন্ধেয় একটু পরিশ্রম করুন। ভোটপাখি বিজেপিকে বিসর্জন দিন।'
বিশ্বজিৎ দাস তাঁর বক্তব্যে বলেন, 'কেন্দ্রের বিজেপি সরকার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই দেয় না। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যের মানুষের জন্য একের পর এক প্রকল্প চালু করে গেছেন। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও রাজ্যের মানুষের পাশে তিনি রয়েছেন। তাই আমাদেরও তাঁর পাশে থাকা উচিৎ।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন