সমকালীন প্রতিবেদন : শুক্রবার ১৪ নম্বর বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তিন দলের প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস, বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর এবং বহুজন সমাজ পার্টির চন্দন মল্লিক।
যেহেতু লোকসভা নির্বাচন, তাই বারাসতে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসকের দপ্তরে এই মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন দুপুরে এক এক করে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শাসকের দপ্তরে গিয়ে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা শাসকের কাছে এই মনোনয়নপত্র জমা করেন প্রার্থীরা।
এদিন সকালে গোপালনগরের বাড়ি থেকে বের হয়ে বনগাঁয় দলীয় কার্যালয়ে আসেন তৃণমূল প্রার্থী। সেখান থেকে দলের সহকর্মীদের নিয়ে প্রথমে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে যান। সেখানে হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ মন্দিরে পুজো দিয়ে আশির্বাদ নেন বিশ্বজিৎ দাস।
এর পাশাপাশি, বড়মা বীনাপানি ঠাকুরের ঘরে প্রবেশ করার ইচ্ছে থাকলেও সেই গিয়ে তিনি দেখেন, ঘরের প্রবেশপথের দরজায় তালা লাগানো। এই অবস্থায় তিনি বাইরে থেকে বড়মার উদ্দেশ্যে প্রনাম জানান। বড়মার ঘরের দরজায় তালাবন্ধ থাকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি।
এব্যাপারে তিনি বলেন, 'বড়মার ঘরে জোর করে তালা লাগিয়ে মহিলা সাংসদ মমতা ঠাকুরকে সেই ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। ভোটের মাধ্যমে শান্তনু ঠাকুরের এই ঔদ্ধত্যের জবাব মতুয়ারা দেবেন।'
ঠাকুরবাড়িতে পুজো দেওয়া প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, '৩ বার বিধায়ক হয়েছি ঠাকুরবাড়ির আশির্বাদেই। আর এবারে লোকসভার প্রার্থী হিসেবেও আশির্বাদ নিতে এসেছি। কেউ কেউ ঠাকুরবাড়িকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করছেন। ঠাকুরবাড়ি কারোর পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। ঠাকুরবাড়ি সকলের।'
ঠাকুরবাড়ির পর এদিন গাইঘাটার কুলপুকুর কালীমন্দিরেও পুজো দেন বিশ্বজিৎ দাস। সেখান থেকে সোজা চলে যান জেলা শাসকের দপ্তরে। সেখানে অতিরিক্ত জেলা শাসকের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। সেইসময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর, বিধায়ক বীনা মন্ডলেরা।
অন্যদিকে, এদিন সকালে ঠাকুরবাড়ির মন্দিরে পুজো দিয়ে দলের নেতা, কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জেলা শাসকের দপ্তরে হাজির হন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির বনগাঁ জেলার সভাপতি দেবদাস মন্ডল, বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া সহ দলের অন্যান্যরা।
ঠাকুরবাড়িতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শান্তনু ঠাকুর বিশ্বজিৎ দাসের ঠাকুরবাড়িতে পুজো দেওয়া প্রসঙ্গে কটাক্ষের সুরে বলেন, 'মতুয়া ভোট পেতে ঠাকুরবাড়িতে আসতে হয়। আবার ঠাকুরবাড়ি নিয়ে কটুক্তি করতেও ছাড়েন না।'
এবারের ভোটে জয়লাভ করতে শান্তনু ঠাকুর যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবেন, তার মধ্যে রয়েছে কল্যানীতে একটি এয়ারপোর্ট তৈরি করা এবং যশোর রোডকে সম্প্রসারণ করা। এদিন তিনি সাংবাদিকদের কাছে সেকথা তুলে ধরেন। জয়ের ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত বলে দাবি করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন