সমকালীন প্রতিবেদন : আগামী ৮ এপ্রিল সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে। তবে আমাদের এশিয়া মহাদেশ থেকে এই গ্রহণ দৃশ্যমান হবেনা। এই গ্রহণ শুধুমাত্র আমেরিকা মহাদেশ থেকে দেখা যাবে। তবে এই সূর্যগ্রহণের বেশ কিছু বিশেষত্ব রয়েছে, যা শুনলে আপনি অবাক হবেন।
কারণ, এই সূর্যগ্রহণটি ১৮০৬ সাল থেকে ইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ হবে। একইসঙ্গে এই সূর্যগ্রহণ হবে পূর্ণগ্রাস। অর্থাৎ চাঁদ পুরোপুরি ঢেকে দেবে সূর্যকে। এই পূর্ণগ্রহণ ৪ মিনিট ২৮ সেকেন্ড স্থায়ী হবে। এর আগে এমন গ্রহণ ১৮০৬ সালেই ঘটেছিল।
তবে এই সূর্যগ্রহণের সঙ্গে আকাশে ঘটবে আরো এমন কিছু ঘটনা, যা মিস করলে এই জীবনে আর দেখতে পারবেন না। কারণ, মহাকাশের ভয়ঙ্কর 'ডেভিল ধূমকেতু'টি এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় দৃশ্যমান হতে পারে। তবে এর দেখা মিলবে কিনা তা এখনও অনিশ্চিত।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৭০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সৌরজগতে প্রথম উপস্থিত হবে এই বিরল ধূমকেতুটি। ২০২৪ এর এই বিরল দৃশ্য মিস করলে ২০৯৫ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ধূমকেতুটিকে ফের দেখার জন্য।
১৮১২ সালে প্রথম ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী জ্যঁ-লুইস পনস। এরপর ১৮৮৩ সালে এটি আবার দেখতে পান জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম রবার্ট ব্রুকস। তাঁদের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। এর আগে সর্বশেষ ১৯৫৪ সালে ধূমকেতুটি সূর্যের কাছাকাছি এসেছিল।
তবে এই সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ যখন সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে, তখন দেখা যাবে সূর্যের করোনা স্তর। গ্রহণের সময়ে আমরা মহাকাশে কালো বলয়ের পিছনে দেখলেই দেখতে পাবো সূর্যের এই হলুদ অংশকে। সূর্যের এই করোনা স্তর সাধারণত দেখা যায়না।
তবে এরকম ধরণের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হলে এই স্তর দৃশ্যমান হয়। উত্তর আমেরিকায় এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ এই সূর্যগ্রহণ দেখতে পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডার লাখ লাখ মানুষ এই গ্রহণ দেখতে পাবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন