সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্যের পড়ুয়াদের কথা ভেবে রাজ্য সরকার চালু করেছিল সবুজ সাথী প্রকল্প। এই প্রকল্পে সাইকেল দেওয়া হয় স্কুলের পড়ুয়াদের। গত কয়েক বছর ধরেই চলছে এই প্রকল্প। বলা যায়, বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে মমতা সরকারের সবুজ সাথী। তবে প্রকল্প শুরু হতেই একাধিক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে।
সেই সময় পড়ুয়াদের একাংশের দাবি ছিল, নিখরচায় সাইকেল পেয়েও খুব একটা লাভবান হয়নি তারা। কিন্তু এভাবে যে সবুজ সাথীর লোগো দেওয়া সাইকেল, বাংলাদেশের হাটে বিক্রি হবে, তা কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি। কাজেই দুর্নীতির একটা প্রশ্ন এখানে বেশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।
যদিও এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। সবুজ সাথী প্রকল্প শুরু হতেই তাতে লেগেছিল দুর্নীতির রঙ। বহু অভিভাবক অভিযোগ করেছিলেন, অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে সবুজ সাথীর সাইকেল। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পাচার করা হচ্ছে পড়ুয়াদের সাইকেল।
আর এবার সেই সাইকেলের দেখা মিলল পড়শি দেশ বাংলাদেশে। সম্প্রতি একটি ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের খুলনার একটি হাটে সারি সারি সাইকেল দাঁড় করানো রয়েছে।
সাইকেলগুলি অবিকল সবুজ সাথীর সাইকেলের মত দেখতে। এমনকি সাইকেলগুলিতে সবুজ সাথীর লোগো পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। এই সাইকেল বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা দামে। পাশাপাশি, যিনি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি নিজেও জানিয়েছেন যে, এগুলি ভারতের সাইকেল।
যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ই-সমকালীন। তবে এই ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে তরজা। তবে কি পাশের দেশেও পাচার করে দেওয়া হয়েছে সবুজ সাথীর সাইকেল? এই প্রশ্ন করছেন অনেকেই। সাইকেলগুলিকে দেখে অনেকেই মনে করছেন যে, এগুলি মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল।
তবে এ নিয়ে দুর্নীতির প্রশ্ন উঠলেও উত্তর এখনও মেলেনি। সাইকেলগুলি সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেলের মতো দেখতে হলেও এগুলি সত্যিই এই প্রকল্পের সাইকেল কী না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এমন ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার। দুর্নীতি হলেও তা বন্ধ করা দরকার অবিলম্বে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন