সমকালীন প্রতিবেদন : মেলায় দোকান দিয়ে ইঞ্জিনভ্যানে ফেরার পথে বাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ প্রাণ গেল ইঞ্জিনভ্যানের চালকের। একই সঙ্গে মৃত্যু হল বাইক আরোহীদের একজনের। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুজন।
বুধবার রাতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বনগাঁ থানার কাকলেমারী সেতু সংলগ্ন চাঁদা রায়পুর এলাকায়। মৃত ইঞ্জিনভ্যান চালকের নাম তরণী সেন। বাড়ি গোপালনগর থানার চালকি এলাকায়।
অন্যদিকে, মৃত বাইক আরোহীর নাম অর্ক রায়। তার বাড়ি বনগাঁ থানার গ্যাঁড়াপোতা এলাকায়। ওই বাইকে থাকা আরও দুই আরোহী মুস্তাকিন মন্ডল এবং প্রসেনজিৎ মন্ডলের বাড়িও একই এলাকায়।
জানা গেছে, বুধবার রাতে চা খাওয়ার নেশায় গ্যাঁড়াপোতা থেকে বাইকে করে তিন বন্ধু গোপালনগরে যায়। রাত ১১ টা নাগাদ বাইক চালিয়েই ফিরছিলেন তারা। পাশাপাশি, বাগদায় মেলায় দোকান দিয়েছিলেন তরণী।
রাতে মেলার দোকান বন্ধ করে নিজের ইঞ্জিন ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তরণী। পথে চাঁদা রায়পুর এলাকায় দাঁড়িয়ে শৌচকর্ম সেরে সবে নিজের ইঞ্জিন ভ্যানে ওঠেন তিনি। আর সেই সময়েই উল্টো দিক থেকে আসা দুরন্ত গতির বাইক ধাক্কা মারে তার ইঞ্জিন ভ্যানে।
তরণীর অন্য সঙ্গীরা অন্য ইঞ্জিন ভ্যানে একটু এগিয়ে গিয়েছিলেন। প্রচন্ড শব্দ শুনে তারা ফিরে এসে দেখেন তরণী এবং আরও ৩ যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার উপর জখম অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। ইঞ্জিন ভ্যানটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এই অবস্থায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৪ জনকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, তরণী অর্ক মারা গেছেন। বাইকের আরও দুই আরোহী মুস্তাকিন মন্ডল এবং প্রসেনজিৎ মন্ডলে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
উল্লেখ্য, রাত নামতেই বনগাঁ–বাগদা এবং বনগাঁ–চাকদা সড়ক একশ্রেণীর নিয়ন্ত্রণহীন বাইক চালকদের দখলে চলে যায়। তাদের বেপরোয়া বাইক চালনার কারণে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। বুধবার রাতের এই দুর্ঘটনা তারই একটি টাটকা উদাহরণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন