সমকালীন প্রতিবেদন : আইপিএল-এ লখনউকে কখনই হারাতে পারেনি নাইটরা। এর আগের ২টি মরসুমের ৩ ম্যাচের প্রতিটিই লখনউয়ের কাছে হেরেছে নাইটরা। তবে সেই সমস্ত হিসেব নিকেশ মেলানোর জন্য বোধহয় পয়লা বৈশাখের দিনটাই বেছে নিয়েছিল নাইটরা।
সল্টের কালবৈশাখী ঝড়ে ৮ উইকেটে রাহুলদের সহজেই হারাল নাইটরা। আইপিএলে প্রথমবার লখনউয়ের বিরুদ্ধে জিতে তৈরি করলেন নতুন ইতিহাস। পুরনো দলের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতলেন গম্ভীরও। নববর্ষের সন্ধ্যার হালখাতায় ২ পয়েন্ট জমা করেই মাঠ ছাড়লেন নাইটরা।
এদিকে, এই ম্যাচে বল হাতে জ্বলে উঠলেন মিচেল স্টার্ক। ২৫ কোটির ক্রিকেটারের ফর্ম নিয়ে নানা মন্তব্য ধেয়ে এসেছে। এমনকী তাঁকে বসিয়ে দেওয়ার দাবিও উঠেছিল। কিন্তু মেন্টর গম্ভীরের ভরসা ছিল স্টার্কের উপরেই।
তাই হয়তো সঠিক দিনে, সঠিক সময়ে জ্বলে উঠলেন স্টার্ক। শাহরুখ খানও উঠে দাঁড়ালেন দলের সবচেয়ে দামী বোলারের প্রশংসায়। তবে এই ম্যাচে আরো এক সুপারস্টারকে খুঁজে পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
এদিন নাইটদের জয়ে বড় ভূমিকা নিলেন ফিল সল্ট। যদিও আইপিএল ২০২৪-এর নিলামেও কেকেআর-এর সদস্য ছিলেন না ফিল সল্ট। ইংল্যান্ডের ওপেনার জেসন রয় ব্যক্তিগত কারণে আইপিএল থেকে নাম তুলে নেন।
সেই জায়গায় ফিল সল্টকে দলে নেয় কেকেআর। দলে নিলেও প্রথম দিকে তিনিই যে এবার কেকেআরের ওপেনিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন, তাও নিশ্চিত ছিল না।প্রাথমিকভাবে ঠিক ছিল, আফগান তারকা রহমানউল্লাহ গুরবাজই কেকেআরের হয়ে ইনিংস শুরু করবেন।
কিন্তু অনুশীলনে সল্টকে দেখে মনে ধরে যায় গৌতম গম্ভীরের। সবদিক বিচার করে গম্ভীরই ওপেনার হিসেবে সল্টকে প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নেন। আর সেই সল্টই এখন একার হাতে ম্যাচ জেতাচ্ছেন কেকেআরকে। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে অভিষেকেই হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন।
মাঝে দুটি ম্যাচ খুব একটা ভাল যায়নি। কিন্তু লখনউয়ের বিরুদ্ধে খেললেন ম্যাচ উইনিং ইনিংস। তাই এখন নাইটদের দল মোটামুটি ব্যালেন্সড। এই দল যে প্লে-অফ খেলার এমনকি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রবল দাবিদার হয়ে উঠছে, তা বলে দিচ্ছে নাইটদের দুর্ধর্ষ ফরম।
ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছিল ২০১২ ও ২০১৪ সালে। এই দুই বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নাইটরা। এবারেও কি তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে? প্রশ্নটা এখন ব্যাপকভাবে প্রাসঙ্গিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন