সমকালীন প্রতিবেদন : প্রতি বছরের মতো এবছরও নির্দিষ্ট দিনে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে বারুনীর মেলা অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার ঠাকুরবাড়ির মন্দিরে পুজো দিয়ে মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপার দীনেশ কুমার।
প্রতিবছর চৈত্র মাসে মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে ঠাকুরবাড়িতে বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়। দেশ–বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মতুয়া ভক্ত এই সময় হাজির হন ঠাকুরনগরের মতুয়া ধামে। সেখানে কামনা সাগরে তারা স্নান সেরে মন্দিরে পুজো দেন।
পাশাপাশি, মন্দির সংলগ্ন মাঠে মেলার আয়োজন হয়। মেলা চলে সাত দিন ধরে। ৬ এপ্রিল, শনিবার এই উৎসব শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঠাকুরবাড়ি চত্ত্বরে আসতে শুরু করেছেন মতুয়া ভক্তরা। তার আগে শুক্রবার ঠাকুরবাড়িতে হাজির হন জেলার পুলিশ সুপার।
এদিন মন্দিরে পুজো দিয়ে মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন বনগাঁর পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন্ত কবিরাজ, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অর্ক পাঁজা, গাইঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাখোহরি ঘোষ সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা।
পুলিশ সুপার জানান, মেলায় যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকার ঘটনা না ঘটে, তারজন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। ঠাকুরবাড়িতে পুলিশ কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে। ৫০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি, সিসি ক্যামেরা এবং ড্রোনের মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হবে।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা সারা ভারত মতুয়া মহা সংঘের সংঘাধিপতি মমতা ঠাকুর মেলায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেলা প্রাঙ্গণে ১৪৪ ধারা জারির জন্য আবেদন করেছিলেন।
এই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, 'কোনও ১৪৪ ধারা লাগু হয়নি। উনি আবেদন করেছিলেন, সেটা পেন্ডিং অবস্থায় রয়েছে। আমরা সমস্ত স্তরের মানুষকে মেলায় আসার জন্য আবেদন করছি।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন